রাজধানীতে বায়ুদূষণ নিয়ে উচ্চ আদালতের আদেশ বাস্তবায়ন বিষয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন দিতে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনকে একমাস সময় দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে দুই প্রধান নির্বাহীকে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দিয়ে আগামী ২৬ জুন পানি ছিটানোর বিষয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেন।
আদালতের তলবে দুই সিটির সিইও হাজিরের পর আজ বুধবার (১৫ মে) এফ আর এম নাজমুল আহাসান এবং বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার। সিটি করপোরেশনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী নুরুন্নাহার আক্তার।
গত ৫ মে ব্যাখ্যা দিতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) প্রধান নির্বাহী মোস্তাফিজুর রহমান এবং উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রধান নির্বাহী আব্দুল হাইকোর্টে তলব করেছিলেন হাইকোর্ট। এ আদেশ অনুসারে তারা হাইকোর্টে হাজির হন। তবে পানি ছিটানোর বিষয়ে তাদের আইনজীবীর দেওয়া হলফনামা অসম্পূর্ণ হওয়ায় বিস্তারিত প্রতিবেদন দিতে আদালত এক মাস সময় দেন।
ঢাকার বায়ুদূষণ নিয়ে গণমাধ্যমে ২১ জানুয়ারি প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে এ রিট করা হয়। ওই রিটের শুনানি নিয়ে ২৮ জানুয়ারি আদালত রুলসহ আদেশ দেন।
ওইদিন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ জানিয়েছিলেন, রুলে ঢাকা শহরের বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না এবং দূষণ নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে দুই সপ্তাহের রুল জারি করেছেন আদালত।
ওইদিন মনজিল মোরসেদ আরও জানিয়েছিলেন, অন্তর্বর্তীকালীন আদেশে ঢাকা শহরের যেসব এলাকায় উন্নয়ন ও সংস্কার (রাস্তায় এবং নির্মাণাধীন কাজের জায়গা) কাজ চলছে সেসব এলাকা ঘেরাও করে কাজ করার পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
১৫ দিনের মধ্যে আদালতের অন্তর্বর্তীকালীন এ আদেশ পালন করে এর দুই সপ্তাহের মধ্যে সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
এছাড়াও যেসব এলাকায় উন্নয়ন ও সংস্কার কাজ চলছে এবং যেসব এলাকা ধুলাবালি প্রবণ, যেসব এলাকায় ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দিনে দুইবার পানি ছিটাতে দুই সিটির মেয়র ও নির্বাহীকে নির্দেশ দেওয়া হয়।
যাদের কারণে বায়ুদূষণের সৃষ্টি হচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সপ্তাহে দুইবার ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করতে পরিবেশ আদালতের মহাপরিচালকের প্রতি নির্দেশ দিয়েছিলেন।