অসত্য তথ্য দিয়ে পুনরায় নিয়োগ ও স্বপদে থাকার অভিযোগ এনে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভিসি প্রফেসর ড. এম আব্দুস সোবহানের অপসারণ চেয়ে ভিসিসহ ছয়জনের প্রতি (আইনি) লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
ডাক ও রেজিস্ট্রিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এক শিক্ষার্থীর পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ মুজাহিদুল ইসলাম শাহীন বুধবার (১৫ মে) এই নোটিশ পাঠান।
নোটিশে ভিসির বিরুদ্ধে বেআইনি কাজ সম্পাদন, তথ্য গোপন ও প্রতারণার অভিযোগে তার এই পদত্যাগ চাওয়া হয়েছে বলে জানান আইনজীবী মুজাহিদুল ইসলাম শাহিন।
রাবির ভিসি ছাড়া অন্য বিবাদীরা হলেন- রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সচিব, রাবির রেজিস্ট্রার, ফলিত পদার্থ বিজ্ঞান ও ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সভাপতি।
নোটিশ পাওয়ার সাত দিনের মধ্যে ভিসিকে অপসারণ করে তা লিখিতভাবে জবাব দিতে বলা হয়েছে। অন্যথায় সুপ্রিম কোর্টে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স ও ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী ও রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী উপজেলার কানাইডাংগা গ্রামের বাসিন্দা নোটিশ পাঠানো হয় সালমান ফিরোজ ফয়সালের পক্ষে।
নোটিশে বলা হয়েছে, অধ্যাপক ড. এম. আব্দুস সোবহান রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি হিসেবে ২০১৭ সালের ৭ মে চার বছরের জন্য দ্বিতীয় মেয়াদে নিয়োগ পান এবং ওইদিনই দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
দায়িত্ব গ্রহণের পর ২১ জুন তিনি ভিসি পদে থেকে ফলিত পদার্থ বিজ্ঞান ও ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে অধ্যাপক হিসাবে যোগদান করেন। আবার ওইদিনই স্বেচ্ছায় অবসর গ্রহণ করেন। এর ফলে ভিসি পদে সাময়িক শূন্যতা সৃষ্টি হয়। ভিসি পদের সাময়িক শূন্যতা পূরণের জন্য রাষ্ট্রপতির অনুমতি ছাড়াই একদিনের জন্য বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. আখতার ফারুককে ভারপ্রাপ্ত ভিসি নিয়োগ দেন। যা ১৯৭৩ সালের বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশের পরিপন্থী।
এতে আরও বলা হয়, ২০১৭ সালের ২১ জুন বিভাগে যোগদান ও স্বেচ্ছাঅবসর গ্রহণের তথ্য গোপন করে ২৪ জুন তিনি রাষ্ট্রপতির কাছে একটি আবেদন করেন। যেখানে ২৯ জুন তারিখে স্বপদে যোগদান ও স্বেচ্ছা অবসর গ্রহণের অনুমতি চাওয়া হয়। রাষ্ট্রপতি সেই আবেদন গ্রহণ করে তাকে যোগদান ও স্বেচ্ছা অবসরের অনুমতি দেন। অথচ আবেদনের পূর্বেই তিনি যোগদান ও স্বেচ্ছাঅবসর গ্রহণ করেছেন।
আইনজীবী মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, এসব কাজের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে তিনি তথ্য গোপন ও প্রতারণার মাধ্যমে যোগদান ও স্বেচ্ছাঅবসরের অনুমতি নিয়েছেন। অবসরের পূর্ণ সুবিধা এককালীন পাওয়ার জন্যই এই কাজ করেছেন তিনি। কারণ ওই বছরের ১ জুলাইয়ের পর অবসর নিলে তিনি অবসরকালীন ৫০ শতাংশের বেশি টাকা একবারে উত্তোলন করতে পারতেন না।
বেআইনি কাজ সম্পাদন, তথ্য গোপন ও প্রতারণার অভিযোগে তার এই পদত্যাগ চাওয়া হয়েছে বলে জানান আইনজীবী মুজাহিদুল ইসলাম।