তথ্যপ্রযুক্তি আইনে করা একটি মামলায় আইনজীবী ও লেখক ব্যারিস্টার ইমতিয়াজ মাহমুদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। ঢাকা মহানগর হাকিম সত্যব্রত শিকদার বুধবার (১৫ মে) এ আদেশ দেন।
বুধবার তাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন পুলিশ। অন্যদিকে তার আইনজীবীরা জামিনের আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তার জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে সকালে রাজধানীর বনানীর নিজ বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করে বনানী থানা পুলিশ।
বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিএম ফরমান আলী বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ইমতিয়াজ মাহমুদের বিরুদ্ধে খাগড়াছড়ি সদর থানায় ২০১৭ সালে তথ্য প্রযুক্তি আইনে একটি মামলা করা হয়। ওই মামলার ওয়ারেন্টের ভিত্তিতে বুধবার সকালে বনানীর নিজ বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
২০১৭ সালে ইমতিয়াজ মাহমুদের বিরুদ্ধে বিতর্কিত ৫৭ ধারায় মামলাটি করেন শফিকুল ইসলাম নামে খাগড়াছড়ির এক বাসিন্দা। পরে মামলায় পুলিশি প্রতিবেদন দাখিল পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্ট থেকে জামিন পান তিনি।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ‘সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইমতিয়াজ মাহমুদ সম্প্রতি তার ফেসবুক আইডিতে পাহাড়ের ইস্যুতে নানা মন্তব্য করেছেন। এর মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসকারীদের মধ্যে সাম্প্রদায়িক উসকানি ছড়ানো হয়েছে। বাঙালি জাতিকে হেয় করে সেটলার আখ্যায়িত করা হয়েছে।’
ইমতিয়াজের পোস্টগুলো ‘পাহাড়ে দাঙ্গা’ লাগানোর জন্য পরিকল্পিত বলেও অভিযোগ করেন বাদী শফিকুল।