বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে আদালতে হাজির না করায় অভিযোগ গঠনের শুনানি পেছালো। পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ১৯ জুন দিন ধার্য করেছেন আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার (১৬ মে ) কেরানীগঞ্জে কেন্দ্রীয় কারাগারের পাশে ২ নম্বর ভবনে অবস্থিত অস্থায়ী ঢাকার ২ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক এ এইচ এম রুহুল ইমরান শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার মামলাটির অভিযোগ গঠনের শুনানি পেছানোর জন্য আবেদন করেন।
শুনানিতে তিনি বলেন, ‘ আজ এ মামলার অভিযোগ গঠন শুনানির দিন ধার্য আছে। কিন্তু খালেদা জিয়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায় তাকে আদালতে হাজির করা হয়নি। সে কারণে অভিযোগ গঠন শুনানি পেছানোর জন্য আবেদন করছি।’
এরপর বিচারক আবেদন মঞ্জুর করে পরবর্তী শুনানির জন্য নতুন দিন ধার্য করেন।
এদিন রাষ্ট্রপক্ষে দুদকের আইনজীবী মোশারফ হোসেন কাজল আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি এ মামলার আসামি সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী ও বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার আমিনুল হকের পক্ষে মামলা বাতিল চেয়ে করা আবেদন খারিজ করে দেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে আদালত স্থগিতাদেশ বাতিল করে আগামী ৬ মাসের মধ্যে মামলা নিষ্পত্তি করতে বিচারিক আদালতকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি থেকে কয়লা উত্তোলন, ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণের ঠিকাদার নিয়োগে অনিয়ম এবং রাষ্ট্রের ১৫৮ কোটি ৭১ লাখ টাকা ক্ষতি ও আত্মসাতের অভিযোগে ২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি শাহবাগ থানায় এই মামলা করা হয়। ওই বছরের ৫ অক্টোবর ১৬ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ছাড়া মামলার অন্য আসামিরা হলেন— সাবেক অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমান (মৃত), সাবেক স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী আবদুল মান্নান ভূঁইয়া (মৃত), সাবেক শিল্পমন্ত্রী মতিউর রহমান নিজামী (মৃত), সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী আলী আহসান মো. মুজাহিদ (মৃত), এম কে আনোয়ার (মৃত), এম শামসুল ইসলাম (মৃত),ড.খন্দকার মোশাররফ হোসেন,আলতাফ হোসেন চৌধুরী,ব্যারিস্টার আমিনুল হক (মৃত), এ কে এম মোশাররফ হোসেন, জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব নজরুল ইসলাম, পেট্রোবাংলার সাবেক চেয়ারম্যান এস আর ওসমানী, পেট্রোবাংলার সাবেক পরিচালক মঈনুল আহসান, বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম ও খনির কাজ পাওয়া কোম্পানির স্থানীয় এজেন্ট হোসাফ গ্রুপের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন।