এক কঠিন সংকটময় পরিস্থিতিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) ঐতিহাসিক ভাষণ দিয়েছিলেন। ইউনেস্কোর মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড রেজিস্টারে অন্তর্ভুক্ত হওয়া বঙ্গবন্ধুর সেই ভাষণ একাত্তরের রণাঙ্গনে অংশ নেওয়া মুক্তিযোদ্ধাদের অনুপ্রেরণা জুগিয়েছিল। আর একাত্তর পরবর্তী সময়ে সেই ভাষণের মধ্যেই সমাজের অবহেলিত ও বঞ্চিত মানুষ খুঁজে নিয়েছে তাদের মুক্তির পথ। স্বাধীনতার ৪৮ বছর পর বঙ্গবন্ধুর সেই ভাষণকে ঘিরে হাইকোর্টে এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হলো। ৭ মার্চের ভাষণ পড়তে গিয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন হাইকোর্টের বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ। এমনকি বঙ্গবন্ধুর সেই ঐতিহাসিক ভাষণ পড়তে পড়তে খোলা আদালতে কেঁদেও ফেলেন তিনি।
একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মুক্তিযোদ্ধাদের ন্যূনতম বয়স নির্ধারণ করা পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করে রায় প্রদানকালে আজ রোববার (১৯ মে) হাইকোর্টের অ্যানেক্স-৬ নম্বর বেঞ্চে এ আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। এ সময় বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি শেখ হাসান আরিফের সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন বিচারপতি রাজিক আল জলিল।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার ওমর সাদাত ও এবিএম আলতাফ হোসেন। তাদের সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী এআরএম কামরুজ্জামান কাকন ও শুভ্রজিৎ ব্যানার্জি। অন্যদিকে, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোখলেছুর রহমান।
পরে রিটকারীদের অন্যতম আইনজীবী ব্যারিস্টার ওমর সাদাত গণমাধ্যমকে বলেন, ‘‘রায় ঘোষণাকালে আদালত যখন ৭ মার্চের বক্তব্য পড়ছিলেন তখন তিনি (বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ) অত্যন্ত আবেগপ্রবণ হয়ে যান। এ সময় তিনি (বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ) বলেন, ‘যে আবেগের ভিত্তিতে এই দেশ সৃষ্টি হয়েছিল, কিন্তু সরকার যে আইন করেছিল সে আইনের কারণে আবেগটি ভূলুণ্ঠিত হয়ে গেছে।’ এরপরই বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ পড়তে গিয়ে তিনি (বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ) আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন এবং খোলা আদালতে কেঁদে ফেলেন।’’ সূত্র : বাংলাট্রিবিউন