একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ৮ কোটি টাকা উদ্ধারের মামলায় তথ্য গোপন করে জামিন আবেদন করায় দুই আসামিকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করেছেন হাইকোর্ট। সঙ্গে সঙ্গে তাদের জামিন আবেদন খারিজ করেছেন আদালত।
আসামিরা হলেন- আমেনা এন্টারপ্রাইজের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মো. জয়নাল আবেদীন ও তার অফিস সহকারী আলমগীর হোসেন।
আগামী ৩০ দিনের মধ্যে আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামকে এক লাখ টাকা এবং বাকি এক লাখ টাকা জাতীয় অন্ধ কল্যাণ সমিতিতে জমা দিতে হবে। টাকা জমা দিয়ে ১০ দিনের মধ্যে তা আদালতকে জানানোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
ওই দুই আসামির জামিন আবেদন শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
এ মামলায় গত ৩ এপ্রিল তাদের জামিন নামঞ্জুর করেন নিম্ন আদালত। পরে ৫ মে তারা হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন। ৭ মে তাদের জামিন আবেদন খারিজ করেন হাইকোর্ট। তখন জামিন আবেদনের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন আঞ্জুমান আরা বেগম। পরে এ তথ্য গোপন করে ফের ২২ মে একই বেঞ্চে জামিন আবেদন করেন ওই দুই আসামি।
বৃহস্পতিবার শুনানিতে বিষয়টি ধরা পড়ায় দুই আসামিকে এক লাখ টাকা করে জরিমানা করেন আদালত। একইসঙ্গে, তাদের আবেদনও খারিজ করে দেয়া হয়।
আদালতে আজ রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল হেলেনা বেগম চায়না। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী কামাল পারভেজ।
আদালতের আদেশের বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করে আমিন উদ্দিন মানিক জানান, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে বানচাল করার জন্য মতিঝিল সিটি সেন্টারের আমেনা এন্টারপ্রাইজ এবং ইউনাইটেড এন্টারপ্রাইজ অ্যান্ড কর্পোরেশনে বসে দেশের বিভিন্ন নির্বাচনী এলাকায় টাকা পাঠানোর সময় অভিযান চালিয়ে নগদ ৮কোটি ১৫লাখ ৩৮ হাজার ৬৫০ টাকাসহ ১০ কোটি ৮৯ লাখ টাকার ২৩টি চেক উদ্ধার করে র্যাব-৩।
একইসঙ্গে আমেনা এন্টারপ্রাইজের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মো. জয়নাল আবেদীন ও তার অফিস সহকারী আলমগীর হোসেনকে আটক করে। এ ঘটনায় গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর মতিঝিল থানায় মামলা করেন র্যাবের ডিএডি মো.ইব্রাহিম হোসেন।