মৌলভীবাজার জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য আবিদা সুলতানা খুন হয়েছেন। গতকাল রোববার (২৬ মে) রাতে বড়লেখা উপজেলার মাধবগুল গ্রামের নিজ বাড়ির একটি ঘর থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়।
কী কারণে বা কারা আবিদা সুলতানাকে হত্যা করেছে, তা এখনো জানাতে পারেনি পুলিশ। তবে পুলিশ জানিয়েছে, এ ঘটনার পর থেকে আবিদা সুলতানার বাড়ির এক ভাড়াটিয়া পলাতক রয়েছেন।
আবিদা সুলতানা ওই গ্রামের মৃত আবদুল কাইয়ুমের বড় মেয়ে। তিনি স্বামী শরীফুল ইসলামের সঙ্গে মৌলভীবাজারে শহরে বসবাস করতেন।
নিহতের পরিবারের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, আবিদা সিলেটের বিয়ানীবাজারে তাঁর বোনের বাড়িতে থেকে গতকাল রোববার সকাল ৯টার দিকে জরুরি প্রয়োজনে পৈতৃক বাড়ি মাধবগুল গ্রামে যান। পরিবারের সদস্যরা বিকেল ৪টার পর থেকে মুঠোফোনে যোগাযোগ করে তাঁকে না পেয়ে মাধবগুল গ্রামে যান।
তাঁরা বাড়ির ভাড়াটিয়া তানভীর আহমদের ঘর বন্ধ দেখতে পান। বিষয়টি সন্দেহ হওয়ায় তাঁরা পুলিশের খবর দেন। পরে পুলিশ গিয়ে তালা ভেঙে আবিদার লাশ মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখে বলে জানান বড়লেখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইয়াসিনুল হক।
ওসি আরো জানান, গভীর রাতে আবিদার লাশটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়। মরদেহের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ভাড়াটিয়া তানভীরের মা ও স্ত্রীকে আটক করা হয়েছে।
এ খুনের ঘটনার পর মৌলভীবাজার আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সম্পাদক তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা জানিয়ে দোষীকে গ্রেপ্তার করে শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানান।