ঢাকাসহ সারাদেশে সব পণ্যের মান দৈবচয়ন ভিত্তিতে পরীক্ষা এবং পুনঃপরীক্ষা করতে বিএসটিআইকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ সময় আদালত বলেন, “এরকম অভিযোগ আছে যে টেস্ট-রিটেস্টের আগে লেনদেন হয়। এরকম খবর পেলে দুদকে না পাঠিয়ে সরাসরি জেলে পাঠিয়ে দেব।”
এক রিট মামলার শুনানিতে আজ রোববার (১৬ জুন) বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ থেকে এমন হুঁশিয়ারি আসে।
এছাড়া ভোক্তাদের জরুরি সেবা দিতে আগামী দুই মাসের মধ্যে একটি হটলাইন চালু করতে ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আদালত বলেছে, ওই হটলাইন চালুর আগ পর্যন্ত ভোক্তা অধিকার সংক্ষরণ অধিদপ্তরের একটি নম্বর (০১৭৭৭৭৫৩৬৬৮), প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের ৩৩৩ এবং জাতীয় হটলাইন ৯৯৯ এর মাধ্যমে ভোক্তাদের ছুটির দিনসহ ২৪ ঘণ্টা জরুরি সেবা দিতে হবে।
আদালত বলেন, “ওই দুটি নম্বর যেন ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকে। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের নম্বরটিও ছুটির দিনসহ ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখতে হবে। বিষয়টি ভোক্তাদের জানানোর জন্য ব্যবস্থা নিতে হবে।
গত ২৩ মে বিএসটিআইর মানের পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ বিভিন্ন কোম্পানির খাদ্যপণ্য বাজেয়াপ্ত বা তুলে নিয়ে ধ্বংস করার নির্দেশনা বাস্তবায়ন না করায় নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মাহফুজুল হককে তলব করেছিল হাইকোর্ট। একইসঙ্গে কেন তার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করা হয়েছিল।
সে অনুযায়ী মাহফুজুল হক রোববার (আজ) আদালতে হাজির হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে নিশঃর্ত ক্ষমা চান। আদালত তাকে শর্তসাক্ষেপে আদালত অবমাননার অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিয়ে সেই রুলের নিষ্পত্তি করে দেয়।
শর্তগুলো হল- মাহফুজুল হক আর কখনো আদালতের আদেশ-নির্দেশ লঙ্ঘন করবেন না। বিএসটিআইয়ের পরীক্ষায় যে ৫২টি নিম্নমানের পণ্য ধরা পড়েছে শুধু সেই ৫২টি পণ্য নয়, খাদ্যে ভেজালের বিরুদ্ধে অব্যাহতভাবে অভিযান পরিচালনা অব্যাহত রাখবেন। যেহেতু নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ জনবল সঙ্কটের কথা বলেছে, তাই সরকারের অন্যান্য ‘এজেন্সির’ সহযোগিতা নিয়ে ভেজালবিরোধী অভিযান তিনি অব্যাহত রাখবেন।
বিএসটিআইয়ের পক্ষে ছিলেন এদিন আদালতে ছিলেন আইনজীবী সরকার এম আর হাসান। নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানের পক্ষে ছিলেন কামাল উল আলম, এম আমিনুদ্দিন এবং মোহাম্মদ ফরিদুল আলম। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পক্ষে ছিলেন কামরুজ্জামান কচি। বিডিনিউজ