ধর্ষণ মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি ও অপরাধীদের সাজা নিশ্চিতে বিচারকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেছেন, সারাদেশে মোট ধর্ষণ মামলার মাত্র ৩ শতাংশ সাজার হার, যা বিচারবিভাগের জন্য কাম্য নয়।
আজ রোববার (১৬ জুন) সকালে রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে এক অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, বিচার প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রিতার কারণে সমাজে ধর্ষণের সংখ্যা বাড়ছে। প্রভাব প্রতিপত্তি দেখিয়ে ও সাক্ষীর অভাবেই অধিকাংশ ধর্ষণ মামলায় দোষীরা পার পেয়ে যাচ্ছে। সারাদেশে মোট ধর্ষণ মামলার মাত্র ৩ শতাংশ সাজার হার, যা বিচারবিভাগের জন্য কাম্য নয় বলেও জানান আইনমন্ত্রী। এসময় ধর্ষণ মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি ও অপরাধীদের সাজা নিশ্চিতে বিচারকদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
আইনমন্ত্রী বলেন, সবার সহযোগিতায় নারী ও শিশু নির্যাতন মামলার মামলা জট কমেছে নারী ও শিশু নির্যাতন মামলার। এটিকে আরো কমাতে হবে। বিচার ব্যবস্থার ওপর আস্থা কমে যায় এমন কাজ করা যাবে না। অপরাধীরা পার পেলে সমাজে-দেশে অপরাধের সংখ্যা বাড়ে।
বিচার প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রিতার কারণে সমাজে ধর্ষণের সংখ্যা বাড়ছে। সমাজে অপরাধের সংখ্যা কমাতে হবে। নয়তো দেশের উন্নয়নের যে লক্ষ্য ব্যর্থ হবে। অপরাধ কমে গেলে জনগণ উন্নয়নের সুফল পাবে। আদালতের নির্দেশনা পালন করে। মামলা জট কমানোর মানসিকতা নিয়ে কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, নুসরাত হত্যা মামলার বিচারকাজ দ্রুত শেষ করে অপরাধীদের শাস্তি দেয়া সরকারের দায়িত্ব। সব আইন মেনেই দ্রুত বিচার আইনে এ মামলার বিচার কাজ শেষ করা হবে।
এ সময় সব পাবলিক প্রসিকিউটরের বেতন বাড়ানো হবে বলেও জানান তিনি।