সরকারি মামলা পরিচালনার জন্য নিয়োগপ্রাপ্ত পাবলিক প্রসিকিউটরদের (সরকারি আইন কর্মকর্তা) বেতন বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক।
আজ রোববার (১৬ জুন) সকালে রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে এক অনুষ্ঠানে মন্ত্রী একথা বলেন।
এর আগেও মন্ত্রী সরকারি আইন কর্মকর্তাদের বেতন বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছিলেন। আজ বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে ফের পাবলিক প্রসিকিউটরের বেতন বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে কবে নাগাদ বাড়বে বা কি হারে বতন বাড়বে সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি সচিবালয়ে নিউইয়র্ক স্টেট গভর্নরের ২৫ সেপ্টেম্বরকে ‘বাংলাদেশ ইমিগ্রেশন ডে’র ঘোষণাপত্র হস্তান্তর অনুষ্ঠান শেষে পাবলিক প্রসিকিউটরদের বেতন বাড়ানোর উদ্যোগের বিষয়ে জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘একজন পাবলিক প্রসিকিউটর যার উপর একটা জেলার উল্লেখযোগ্য ও স্পর্শকাতর মামলাগুলো ন্যস্ত করা হয়, যার দায়িত্বে থাকে তাকে প্রতিদিন ৫০০ টাকা দেয়া হয়। সেটা তুলতে কিন্তু আমার ৩০০ টাকা খরচ হয়ে যায়। আর পারিশ্রমিক মনে হয় ৩ হাজার টাকা মাসে। দিস ইজ হোয়াট হি গেটস নাউ।’
আইনমন্ত্রী আরও জানিয়েছিলেন, ‘পিপিদের বেতন বাড়ানোর প্রস্তাবটি বিবেচনায় আছে। আশা করছি ২০২০ সালে ১ জুলাই থেকে তা কার্যকর হবে। এজন্য বাড়তি ২৬৭ কোটি টাকা লাগবে। ইতোমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে সরকারের সাবেক অর্থমন্ত্রী এবং বর্তমান প্রধানমন্ত্রী উভয়ের সঙ্গেই কথা বলেছি।’
এছাড়া সে সময় সরকারি মামলা পরিচালনার জন্য ৩০ শতাংশ প্রসিকিউটর (সরকারি আইন কর্মকর্তা) জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগ দেয়া হবে বলেও জানিয়েছিলেন তিনি। সেদিন আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ইন্ডিপেন্ডেন্ট প্রসিকিউশন সার্ভিস করার কথা চিন্তা করছি এবং খুব সিরিয়াসলি চিন্তা করছি। বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে যেন রিক্রুটমেন্টটা তাদের মাধ্যমে হয়, সেই ব্যবস্থা করছি।’
তিনি বলেন, ‘তবে সবটা প্রসিকিউশন সার্ভিস ইন্ডিপেন্ডেন্ট প্রসিকিউশন সার্ভিস হিসেবে করাটা প্র্যাকটিক্যাল হবে না। সে জন্য অন্ততপক্ষে ৩০ শতাংশ ইন্ডিপেন্ডেন্ট প্রসিকিউশন সার্ভিস এবং ৭০ শতাংশ পলিটিক্যাল অ্যাপয়েন্টমেন্ট, আমরা এভাবে শুরু করতে চাই। তারপর সাকসেসের ওপর নির্ভর করবে ইন্ডিপেন্ডেন্ট প্রসিকিউশন সার্ভিসের পার্সেন্টেজটা আরও বৃদ্ধি করা হবে কি না।’
আনিসুল হক বলেন, ‘বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশন যেভাবে বিজ্ঞ বিচারক নিয়োগের জন্য পরীক্ষা নেন, ঠিক সেভাবেই প্রসিকিউটর নিয়োগের জন্য একটি পরীক্ষা নেয়ার প্রথা চালু করব।’