নিউজিল্যান্ডের দু’টি মসজিদে গুলি করে অর্ধশতাধিক মুসল্লি হত্যাকাণ্ডের বিকৃত ভিডিও শেয়ার করায় এক ব্যক্তিকে ২১ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির আদালত।
আজ মঙ্গলবার (১৮ জনু) ক্রাইস্টচার্চ জেলা আদালত এ আদেশ দেন। আদালতের বিচারক স্টিফেন ওড্রিসকল মুসলিম সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে ‘অপ্রত্যাশিত মতামত’সহ দু’টি অভিযোগে আসামিকে দোষী সাব্যস্ত করেন।
গত ১৫ মার্চ জুম্মার নামাজ আদায়কালে ক্রাইস্টচার্চের আল নূর মসজিদ ও পাশের লিনউড ইসলামিক সেন্টারে স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়ে নারী-শিশুসহ ৫১ জনকে হত্যা করেন ব্রেন্টন ট্যারেন্ট নামের এক অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক। হত্যাকাণ্ডের এ ভিডিও তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচারও করেন।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম নিউজিল্যান্ড হেরাল্ড জানায়, ঘটনার পরের দিন ফিলিপস আর্পস (৪৪) নামের এক ব্যক্তি বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডের ভিডিওটি এডিট করে বন্ধুসহ ৩১ জনের কাছে পাঠান। নতুন ভিডিওতে তিনি ভিডিও গেমের মতো করে বন্দুকের লক্ষ্য ও মৃতের সংখ্যা যোগ করেন। ভয়ংকর ভিডিওটিকে ‘অসাধারণ’ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, ফিলিপস আর্পস নামের ওই ব্যবসায়ী হামলার শিকার আল নূর মসজিদে ২০১৬ সালে শূকরের মাথা ফেলে গিয়েছিলেন বলে অভিযোগ আছে।
১৫ মার্চের হামলাটি শান্তিপূর্ণ দেশ নিউজিল্যান্ডের ইতিহাসের অন্যতম ভয়াবহ হত্যাকাণ্ড। এ ঘটনায় হত্যাকারী ব্রেন্টন ট্যারেন্টের বিরুদ্ধে ৯২টি অভিযোগে বিচার চলছে। চলতি সপ্তাহে আদালতের শুনানিতে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন এ অস্ট্রেলিয়ান। আগামী বছরের ৪ মে এ হত্যাযজ্ঞের বিচারের দিন ধার্য করেছেন বিচারক। মামলার পরবর্তী শুনানি হবে আগামী ১৬ আগস্ট। ততদিন কারা হেফাজতেই থাকবেন একমাত্র আসামি ব্রেন্টন ট্যারেন্ট।