সর্বোচ্চ আদালত
সর্বোচ্চ আদালত

ফার্মেসি থেকে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ সরানোর নির্দেশ হাইকোর্টের

এক মাসের মধ্যে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রি বন্ধ, ফার্মেসি থেকে প্রত্যাহার ও ধ্বংসের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি যেসব ফার্মেসীতে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে একটি কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

আজ মঙ্গলবার (১৮ জুন) বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

এর আগে ঢাকা শহরের ফার্মেসিতে থাকা মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রয় বন্ধ ও অবিলম্বে প্রত্যাহারের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়।

‘ঢাকায় ৯৩ শতাংশ ফার্মেসিতে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ’ শিরোনামে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। গত ১০ জুন ফার্মগেটের খামারবাড়িতে ‘বিশ্ব নিরাপদ খাদ্য দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মঞ্জুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার বলেন, ঢাকা শহরের ৯৩ শতাংশ ফার্মেসিতে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ রাখা হয়। আমাদের নিয়মিত বাজার তদারকির গত ছয় মাসের প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে এ তথ্য পাওয়া গেছে। মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ রাখার দায়ে ভোক্তা আইনের বিভিন্ন ধারায় অনেক প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করার পাশাপাশি কয়েকটি সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলেও জানান ওই কর্মকর্তা।

তিনি বলেন, এই ধরনের প্রতারণা রোধে অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে সারা দেশেই তদারকি টিম গঠন করা হয়েছে। তদারকি টিম কখনো ক্রেতা সেজে, আবার কখনো ঝটিকা অভিযানের মাধ্যমে ফার্মেসিগুলোর কার্যক্রম নজরদারির আওতায় রেখেছে।

প্রকাশিত এই প্রতিবেদন যুক্ত করে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে। রিটে স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, ডিএমপি কমিশনারকে বিবাদী করা হয়।