আমসহ বিভিন্ন ফলে ফরমালিনের বিষয়ে মান নির্নয়কারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস এন্ড টেস্টিং ইন্সটিটিউশন (বিএসটিআই) এর প্রতিবেদনে সন্তুষ্ট নয় হাইকোর্ট। তাই ফরমালিন নির্মূলের বিষয়ে পুলিশ ও র্যাবকে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
এ সংক্রান্ত এক রিট আবেদন শুনানিতে আজ মঙ্গলবার (১৮জুন) সকালে বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল হাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের গঠিত বেঞ্চে বিএসটিআই’র প্রতিবেদন দেখে এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ বি এম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।
আদালত বলছে, ‘আমসহ বিভিন্ন ফলে ক্ষতিকর রাসায়নিকের ব্যবহারে দেশের অনেক মানুষ অসুস্থ্য হয়ে পড়ছেন, আগামী প্রজন্মের স্বার্থেই এ বিষয়ে কঠোর হওয়া দরকার, বিএসটিআই ঠিকভাবে কাজ করলে দেশের অবস্থা এরকম হতো না, বাংলাদেশে এখন মানুষের স্বাস্থ্যের কোন নিরাপত্তা নেই, অবস্থা এমন যে ভালভাবে বাঁচার উপায় নেই।’
এসময় আদালত ফলের রাসায়নিক পরীক্ষায় যন্ত্র না কেনায় উষ্মা প্রকাশ করেন। আদালত বলেন, ‘মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার পাচার হচ্ছে, অথচ ক্ষতিকর রাসায়নিক পরীক্ষার যন্ত্র কেনার অর্থ দেওয়া হচ্ছে না!’
সারা বছরই ফলে রাসায়নিক মেশানো হয় কিনা তদারকিতে অভিযান অব্যাহত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। মৌসুমী ফলসহ আমে রাসায়নিক প্রতিরোধে নমনীয় অবস্থানে না থেকে অভিযান পরিচালনাকারী সংস্থাকে আরো কঠোর হওয়ার নির্দেশও দিয়েছেন আদালত।
এরআগে, গত ২০ মে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের ফলের বাজার ও আড়তে ব্যবসায়ীরা যেন আমে কোনও ধরনের কেমিক্যাল ব্যবহার করতে না পারে তা তদারকির জন্য মনিটরিং টিম গঠনের নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। পুলিশ মহাপরিদর্শক, র্যাবের মহাপরিচালক, বিএসটিআইয়ের চেয়ারম্যান ও বিএসটিআইয়ের পরিচালককে এ মনিটরিং টিম গঠন করতে বলা হয়।
প্রসঙ্গত, এই একই রিটের শুনানি নিয়ে গত ৯ এপ্রিল রাজশাহী অঞ্চলের আমবাগানগুলোতে কেমিক্যাল ব্যবহার রোধে ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। আদেশ বাস্তবায়ন করে রাজশাহীর বিভাগীয় কমিশনার ও রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজিকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। পরে আদালতের আদেশ বাস্তবায়ন করা হয়েছে মর্মে প্রতিবেদন দাখিল করেন রাজশাহীর পুলিশ কমিশনার।