স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, ‘দক্ষিণ এশিয়ার নারীদের রয়েছে গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস। সে কারণেই এগিয়ে গেছে সভ্যতা ও সমাজ।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক মিলনায়তনে (টিএসসি) শনিবার (২২ জুন) বাংলাদেশ ইতিহাস পরিষদের ৪৯তম বার্ষিক আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
ড. শিরীন শারমিন বলেন, ‘৫২ এর ভাষা আন্দোলন, ‘৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান, ‘৭১ এর মুক্তিযুদ্ধসহ সব গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রামে বাধা অতিক্রম করে নারীরা এগিয়ে এসেছে। শুধু বাংলাদেশ নয় সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ায় তারা সফলতার দৃষ্টান্ত রাখছে। যা অনুসরণযোগ্য এবং অনুপ্রেরণার উৎস।
ঢাবি উপাচার্য ও বাংলাদেশ ইতিহাস পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন। সম্মেলন উদ্বোধন করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
স্পিকার বলেন, কৃষি, অর্থনীতি ও রাজনীতিতে নারীর উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে। আবার অনেক নারী অবদান রাখা সত্ত্বেও কাজের স্বীকৃতি পাননি। এসব নারীর অবদান চিহ্নিত করতে হবে।
তিনি বলেন, বঞ্চিত মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরলসভাবে কাজ করছেন যা ইতিহাসেরই অংশ। বাঙালি জাতির অবস্থানকে বিশ্ব সভায় উচ্চ আসনে অধিষ্ঠিত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ, ইউজিসির সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আব্দুল মান্নান এতে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন। এর আগে স্পিকার অতিথিদের নিয়ে ইতিহাস পরিষদের স্মরণিকার মোড়ক উন্মোচন করেন। খবর বাসস।