রাজধানীর বনানীর এফআর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ভবনটির নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান রূপায়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী খান মুকুলের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
আজ রোববার (২৩ জুন) ঢাকা মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াসির আহসান চৌধুরীর তার জামিন মঞ্জুর করেন।
এর আগে আদালতে আত্মসমর্পণ করে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন আবেদন করেন লিয়াকত আলী খান মুকুল। তার আইনজীবী এস কে আবু সায়ীদ বলেন, লিয়াকত আলী খান মুকুলের বয়স ৬০ অধিক এছাড়াও তিনি অসুস্থ। এ মামলায় এজাহারভুক্ত আসামিরা জামিন পেয়েছেন। মামলাটি জামিনযোগ্য হওয়ায় আমরা তার জামিন প্রার্থনা করছি।
অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করেন।
উভপক্ষের শুনানি শেষে ২০ হাজার টাকা মুচলেকায় জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত। বনানী থানার আদালতের সাধরণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক রকিবুল হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এ মামলায় ভবনের বর্ধিত অংশের মালিক তাসভির উল ইসলাম গত ১১ এপ্রিল জামিন পেয়েছেন। তার আগে গত ৬ মে জামিন পান জমির মালিক প্রকৌশলী এস এম এইচ আই ফারুক।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২৮ মার্চ বনানীর কামাল আতাতুর্ক এভিনিউয়ের পাশের ১৭ নম্বর সড়কে ফারুক রূপায়ন (এফআর) টাওয়ারের ভয়াবহ আগুনে ঘটনাস্থলে ২৫ জন ও হাসপাতালে একজন নিহত হন। আহত হয়েছেন ৭৩ জন। পরে ৩০ মার্চ এফআর টাওয়ারের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বনানী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মিল্টন দত্ত বাদী হয়ে এ মামলা করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামিরা অসৎ উদ্দেশ্যে পরস্পর জোগসাজশে মানুষের জানমালের ক্ষতি, অবহেলা ও তাচ্ছিল্যপূর্ণ কার্যকলাপের ফলে অপরাধজনক অগ্নিকাণ্ডে মানুষের প্রাণহানি, মারাত্মক জখমসহ সম্পদের ক্ষতিসাধন করেন।
মামলার আসামিরা হলেন- ভবনের বর্ধিত অংশের মালিক তাসভির উল ইসলাম, জমির মালিক প্রকৌশলী এস এম এইচ আই ফারুক ও রূপায়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী খান। এছাড়া এফআর টাওয়ারের ব্যবস্থাপনা কমিটির নেতাসহ অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।
রূপায়ন গ্রুপের চেয়ারম্যানের জামিনের মাধ্যমে এই মামলার মূল আসামিরা সবাই জামিন পেলেন।