সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার সকিপুর খাদ্যগুদামে রাখা ৮০০ টন চালের বস্তায় মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ উল্লেখ না করার বিষয়ে খাদ্য অধিদফতরের মহাপরিচালকসহ (ডিজি) সংশ্লিষ্টদের লিখিত ব্যাখ্যা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে আগামী ১৮ এপ্রিল তাদের এ ব্যাখ্যা দাখিল করতে বলেছেন আদালত।
চাল পরীক্ষা সংক্রান্ত বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের একটি প্রতিবেদন পর্যালোচনা শেষে আজ রোববার (২৩ জুন) বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী ফরিদুল ইসলাম। অন্যদিকে, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এবিএম আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।
পরে আইনজীবী ফরিদুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘সাতক্ষীরার একটি গুদামে থাকা চাল পরীক্ষা করে আদালত আমাদের একটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেছিলেন। আমরা চালের চারটি নমুনা পরীক্ষা করে প্রতিবেদন দাখিল করেছি। আদালত আমাদের প্রতিবেদনে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। এরপর ওইসব চালের বস্তায় কেন মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ উল্লেখ করা হয়নি, সে বিষয়ে খাদ্য অধিদফতরের মহাপরিচালকসহ (ডিজি) সংশ্লিষ্টদের লিখিত ব্যাখ্যা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, এর আগে সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার সকিপুর খাদ্যগুদামে ৮০০ টন সংগৃহীত চাল রাখা হয়। কাজের বিনিময়ে খাদ্য (কাবিখা) ও খ্রিস্টানদের বড় দিন উপলক্ষে এই চালগুলো কুষ্টিয়া গুদাম থেকে সংগ্রহ করা হয়। এমনকি নতুন চালের বস্তা চারপাশ দিয়ে ঘিরে রেখে এর মাঝখানে পুরনো চালের বস্তাগুলো গুদামজাত করা এবং এর মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে। পরে বিষয়টি স্থানীয় পত্রিকায় প্রতিবেদন আকারে প্রকাশিত হয়। এরপর ওই প্রতিবেদন সংযুক্ত করে স্থানীয়রা বিষয়টির তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন।
সেই রিটের শুনানি নিয়ে গত ১৪ মে সাতক্ষীরায় মেয়াদোত্তীর্ণ চাল গুদামজাত করার ঘটনা তদন্ত করে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষকে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।