দেশের কারাগারগুলোতে কতজন বন্দির ধারণ ক্ষমতা রয়েছে এবং কারাগারে বন্দি ও চিকিৎসকের সংখ্যা কত -তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী ৬ সপ্তাহের মধ্যে কারা কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
এক রিটের শুনানি নিয়ে আজ রোববার (২৩ জুন) হাইকোর্টের বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দিয়েছেন।
একইসঙ্গে সারাদেশের কারাগারে মানসম্মত থাকার জায়গা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্টদের নিষ্ক্রিয়তাকে কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। এছাড়া রুলে কারা চিকিৎসকের শূন্য পদে নিয়োগ দিয়ে বন্দিদের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তার কারণ জানতে চাওয়া হয়েছে।
আইন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব (সুরক্ষা বিভাগ), স্বাস্থ্য সচিব, সমাজ কল্যাণ সচিব, জনপ্রশাসন সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও কারা মহাপরিদর্শককে চার সপ্তাহের মধ্যে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন। তাকে সহায়তা করেন আইনজীবী শাম্মী আকতার। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ বি এম আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।
এর আগে, গত মার্চ মাসে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. জে আর খান রবিন রিট আবেদনটি দায়ের করেন।
রিটে বলা হয়, দেশে ৬৮টি কারাগার রয়েছে। এর মধ্যে ১৩টি কেন্দ্রীয় এবং বাকি ৫৫টি জেলা কারাগার। এসব কারাগারের মোট ৪০,৬৬৪ বন্দি ধারণ ক্ষমতা হলেও বর্তমানে রয়েছে ৮৯,৫৬৪ বন্দি, যা দ্বিগুণ। ১২৯ জন কারা চিকিৎসকের বিপরীতে মাত্র ৯ জন কর্মরত। অস্বাস্থ্যকর ও অনিরাপদ পরিবেশের কারণে কয়েদিরা নানা রোগে ভুগছেন। অসুস্থ হয়ে পড়লে যথাযথ চিকিৎসা সেবা থেকেও তারা বঞ্চিত। রিটের সঙ্গে কয়েকটি পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করা হয়।