বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) পরিচালক (রোড সেফটি) শেখ মোহাম্মদ মাহবুব-ই রাব্বানী হাইকোর্টে উপস্থিত হয়েছেন। ফিটনেসবিহীন গাড়ি ও লাইসেন্সহীন ড্রাইভারদের তথ্যসহ ব্যাখ্যা দিতে আজ সোমবার (২৪ জুন) সকাল সাড়ে ১০টায় তিনি আদালত প্রাঙ্গণে আসেন।
রাজধানীর সড়কে ফিটনেসবিহীন ৭০ হাজার গাড়ি চলাচলের কারণ ব্যাখ্যা দিতে তাকে তলব করা হয়েছিল। গত ২৭ মার্চ হাইকোর্ট এই তলব করেছিলেন। এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দেয়ার জন্য প্রথমে গত (৩০ এপ্রিল) তারিখ ধার্য ছিল। এরপর ওই তারিখ পরিবর্তন করে তাকে আজ (২৪ জুন) স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে এর ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়।
একটি ইংরেজি জাতীয় দৈনিকের প্রকাশিত প্রতিবেদন আমলে নিয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ সুয়োমুটো (স্বপ্রণোদিত) হয়ে এই তলব করেছিলেন।
এ ছাড়া ওইদিন আদালত রুল জারি করেছেন। রুলে ফিটনেস ও রেজিস্ট্রেশনবিহীন গাড়ি ও ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি চালানোর বিষয়ে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চাওয়া হয়।
পাশাপাশি সংবিধানের ৩২ নম্বর অনুচ্ছেদের আলোকে বেঁচে থাকার অধিকার বাস্তবায়নে কেন মোটর ভেহিকল অধ্যাদেশ ১৯৮৩ এর বিধানগুলো সঠিকভাবে পালনের জন্য নির্দেশনা দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিলেন আদালত।
চার সপ্তাহের মধ্যে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, পুলিশের আইজি, চেয়ারম্যান (বিআরটিএ), ঢাকার ডিসি ট্রাফিক (উত্তর ও দক্ষিণ), বিআরটিএ পরিচালককে (রোড নিরাপত্তা) রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছিল।