দেশের সড়কে ফিটনেসবিহীন গাড়ি ও লাইসেন্সহীন ড্রাইভারদের বিষয়ে সঠিক তথ্য দিতে না পারায় বিআরটিএর প্রতি চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে আগামী ১ মাসের মধ্যে সারাদেশের ফিটনেসবিহীন গাড়ির নাম-নম্বর, মালিকের নামের তালিকা জমা দিতে বিআরটিএকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ সোমবার (২৪ জুন) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলম সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এ তথ্য দেয়ার জন্য বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) পরিচালক (রোড সেফটি) শেখ মোহাম্মদ মাহবুব-ই রাব্বানীকে আজ তলব করেছিলেন হাইকোর্ট। আজ বিআরটিএর এই পরিচালক আদালতে হাজির হন। কিন্তু তিনি ফিটনেসবিহীন গাড়ি ও লাইসেন্সহীন ড্রাইভারদের বিষয়ে সঠিক তথ্য দিতে পারেননি।
আদালত বলেছেন, আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি কি দেশের সড়কে বেহাল দশার জন্য। সিঙ্গাপুরের দিকে তাকান। আমাদের কাছাকাছি সময়ে স্বাধীনতা অর্জন করার পরও তারা কত উন্নতি করেছে। সিঙ্গাপুরে কি বাংলাদেশের মতো দুর্ঘটনা ঘটে? বাংলাদেশে কেন এত দুর্ঘটনা ঘটছে?
আমেরিকায় কি দুর্ঘটনা ঘটছে? ইংল্যান্ডে কি দুর্ঘটনা ঘটছে?
আদালত ক্ষোভ প্রকাশ করে আরও বলেন, বিআরটিএ ছাড়াও দেশে পুলিশ আছে, পুলিশের নাকের ডগার ওপর দিয়ে এসব অনিয়ম হচ্ছে।
বিআরটিএর পরিচালকের উদ্দেশ্যে আদালত বলেন, অফিসে বসে বসে শুধু কি চা খাইলে হবে? দেশপ্রেম থাকতে হবে। বিআরটিএ কি করে? আমরা কেন ডাকবো, তাদের (বিআরটিএ) ডাকতে হবে কেন? তারা (বিদেশিরা) পারছে, আমরা পারছি না কেন?
আমরা সোনার বাংলা গড়তে চাই। কিন্তু কোনো পরিবর্তন লক্ষ্য করছি না,- যোগ করেন আদালত। এরপর ২৩ জুলাই এ বিষয়ে শুনানির দিন ধার্য করেন আদালত।
উল্লেখ্য, সড়কে একের পর এক দুর্ঘটনার পর ৭১ হাজার ফিটনেসহীন গাড়ি নিয়ে গত ২৩ মার্চ একটি জাতীয় দৈনিকে সংবাদ প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদনটি আদালতের নজরে আনেন সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী সৈয়দ মামুন মাহবুব। এ সময় আদালত বলেন, কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নন। সকলকেই আইন মেনে চলতে হবে।