ঘুষ লেনদেন নিয়ে পরপর একাধিক অডিও রেকর্ড ফাঁসের ঘটনায় টনক নড়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক)। সংস্থাটির কোনও কর্মকর্তা বা তার আত্মীয়-স্বজনরা তদন্ত বা অনুসন্ধানের নামে কোনও ব্যক্তির কাছে অনৈতিক সুবিধা চাইলেই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার পদক্ষেপ নিয়েছে দুদক।
সংস্থাটি থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দুদক কর্মকর্তা কিংবা তাদের আত্মীয়-স্বজনের পরিচয়ে কেউ কোনও অনৈতিক দাবি অথবা অনৈতিক প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করলে সংস্থাটির পরিচালক (গোয়েন্দা) মীর মো. জয়নুল আবেদীন শিবলী (মোবাইল নং-০১৭১১-৬৪৪৬৭৫) অথবা উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য (মোবাইল নং-০১৭১৬-৪৬৩২৭৬)-এর সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের যোগাযোগ করতে হবে।
উল্লেখ্য, অভিযোগ ওঠায় পুলিশ সদর দফতরে সংযুক্ত ডিআইজি মিজানের সম্পদের বিষয়ে অনুসন্ধান নিয়ে বেশ কিছু দিন ধরেই ব্যাপক সমালোচনায় দুদক। সংস্থাটির পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছির তার সম্পদের অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন দাখিলের মুহূর্তে ডিআইজি মিজান একটি গণমাধ্যমে ঘোষণা দেন ওই পরিচালক তার কাছ থেকে দু’দফায় ৪০ লাখ টাকা ঘুষ নিয়েছেন। এ সংক্রান্ত একাধিক অডিও রেকর্ডও প্রকাশ করেন তিনি। এ ঘটনায় টালমাটাল দুদক সঙ্গে সঙ্গে ওই পরিচালককে সাময়িক বরখাস্ত ও দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করে।
এ ঘটনার রেশ না কাটতেই রোববার লন্ডন প্রবাসী দয়াছের অডিও সংলাপে দুদকের ওরা কারা? (অডিও) শিরোনামে ৫টি অডিও রেকর্ডসহ আরেকটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে একটি অনলাইন গণমাধ্যম।