অ্যাডভোকেট মুরাদ মোর্শেদ:
এবার আমরা দণ্ডবিধির ২য় অংশ পড়বো। এর শিরোনাম দিয়েছি ‘বিবিধ অপরাধ -১’। এর বিস্তৃতি অধ্যায় ৬ থেকে ১৫; এর সংশ্লিষ্ট ধারা ১২১-২৯৮ পর্যন্ত। অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে, ‘বিবিধ অপরাধ – ১’ এটি আবার কেমন শিরোনাম? এটি বোঝানোর জন্য কিছু কথা জানা আবশ্যক।
দণ্ডবিধিতে প্রায় সমস্ত ধরনের ফৌজদারি অপরাধের সংজ্ঞা বলা আছে। এই অপরাধগুলোর পর্যালোচনা করলে প্রধান কয়েকটি ভাগে এটিকে ভাগ করা যায়। যেমন,
১. দেহ ও জীবন সংক্রান্ত অপরাধ
২. সম্পত্তি সংক্রান্ত অপরাধ
৩. বিবিধ অপরাধ
এর ভেতরে বিবিধ অপরাধ হিসেবে যেগুলোকে চিহ্নিত করা হয়েছে সেগুলোর অবস্থান দণ্ডবিধিতে ধারাবাহিকভাবে নেই। একটি অংশ ১২১-২৯৮ পর্যন্ত, অন্যটি ৪৬৩-৫১১। ফলে একটিকে ‘বিবিধ অপরাধ – ১’ হিসেবে এবং অন্যটিকে ‘বিবিধ অপরাধ – ২’ হিসেবে নামকরণ করা হয়েছে। প্রয়োজনে আবারো দণ্ডবিধির অধ্যায় বিভক্তির চিত্রটি দেখে আসুন এই সিরিজের প্রথম পর্বের লেখাটি থেকে। বিবিধ অপরাধের অধীনে বর্ণিত বিষয়গুলোকে আরো কয়েকটি ভাগে ভাগ করা সম্ভব। কিন্তু আমাদের সেই বিবেচনা করার দরকার নেই। মাথায় জ্যাম লেগে যাবে। আমরা বরং একে একে দেখতে পারি এইসব বিবিধ অপরাধগুলো কী কী? মোদ্দাকথায় এটি মনে রাখবেন যে, দণ্ডবিধিতে প্রধানত দেহ ও সম্পত্তি সংক্রান্ত অপরাধের কথা বলা আছে। এগুলোই প্রধান ফৌজদারি অপরাধের ধরণ। কিন্তু দেহ ও সম্পত্তি সংক্রান্ত অপরাধ ছাড়াও আরো অনেক রকমের ফৌজদারি অপরাধ রয়েছে। এই সমস্ত অপরাধগুলোকে আমাদের এমসিকিউ পরীক্ষার প্রস্তুতির সুবিধার্থে উপরোক্ত ৩ ভাগে ভাগ করেছি। ভুলে যাবেন না যে, এই বিভক্তি আমার করা; আইনে এরূপ কোনো বিভক্তির কথা বলা নাই। তো, শুরুতে এই অংশের একটি সাধারণ পরিচিতি তুলে ধরে পরে গুরুত্বপূর্ণ ধারাগুলো সম্পর্কে বলি।
কাম টু দ্যা পয়েন্ট! অধ্যায় ৬। ১২১ থেকে ১৩০ ধারা। ‘রাষ্ট্রবিরোধী অপরাধ প্রসঙ্গে’ এর শিরোনাম। এটি সিলেবাসে আছে। কিন্তু গুরুত্ব দিয়ে কেউ পড়েন না সাধারণত। তবে রাষ্ট্রদ্রোহিতা নামক খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি অপরাধের কথা এখানে বলা আছে। ধারাগুলো রিডিং দেবেন এবং উক্ত সংশ্লিষ্ট ধারাটি বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে পড়বেন। সবগুলো ধারার তথ্য এখান থেকে মনে রাখার কোনো মানে হয় না। ১২৪ক ধারাটি সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে সাথে ১২১ ও ১২৪ পড়ে রাখবেন।
এরপরে অধ্যায় ৭। ১৩১ থেকে ১৪০ ধারা। ‘সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনী সম্পর্কিত অপরাধ প্রসঙ্গে’ শিরোনামে আলোচনা। এটি বার কাউন্সিলের সিলেবাসে নেই; দরকারও নেই।
অধ্যায় ৮। ১৪১ থেকে ১৬০ ধারা। ‘জনশৃঙ্খলা বিরোধী অপরাধ প্রসঙ্গে’ শিরোনামে আলোচনা। অতি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। ‘বেআইনি সমাবেশ’, ‘সাধারণ উদ্দেশ্য’ এর মতো গুরুত্বপূর্ণ ধারণা ও সংজ্ঞা এই অধ্যায়েই বর্ণিত আছে। আরো আছে দাঙ্গা, মারামারি ইত্যাদি প্রসঙ্গ। এর বেশিরভাগ ধারাই আপনাদেরকে পড়তে হবে মনোযোগ দিয়ে এবং মনে রাখতে হবে। এটি একটি চ্যালেঞ্জ! চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার একটি সহজ পথ হলো কয়েক ধরনের ছক করে এটিকে ভিজুয়ালাইজ করে করে মনে রাখার চেষ্টা করা। এই অধ্যায়ে সেই চ্যালেঞ্জটি সফলতার সাথে সমাপ্ত করতে পারলে দণ্ডবিধির অন্যান্য অধ্যায় বা অংশ, যেখানে একের পর এক একটি নির্দিষ্ট অপরাধের বিভিন্ন তারতম্যের কারণে শাস্তির ভিন্নতা ঘটেছে সেগুলো মনে রাখার ক্ষেত্রে কোনোই সমস্যা হবে না বলে মনে করি।
অধ্যায় ৯। ১৬১ থেকে ১৭১ঝ। এটির কম গুরুত্ব দিয়ে পড়ার পরামর্শ দিলেও ১৬১-১৬৩ এবং ১৭০-১৭১ এই ৫টি ধারা অবশ্যই পড়তে বলবো। ১৬১ ধারায় এমনকি বেশ কিছু শব্দবন্ধের সংজ্ঞা দেওয়া আছে যেমন, ‘পারিতোষিক’, ‘আইনসংগত পারিশ্রমিক’ ইত্যাদি। এগুলোর সংজ্ঞা যে এই ধারাটিতে আছে সেটিসহ সংজ্ঞামূলক ধারণা ও এর শাস্তির কথা মনে রাখতে হবে। অন্যদিকে ১৭০ ও ১৭১ ধারায় বিধৃত অপরাধটি কিন্তু সমাজে প্রায়ই ঘটে। পড়বেন। জরুরি।
অধ্যায় ১০। ১৭২ থেকে ১৯০। ‘সরকারি কর্মচারিদের আইনানুগ ক্ষমতার অবমাননা প্রসঙ্গে’ – এটির শিরোনাম। এই অধ্যায় থেকে আসার মতো প্রশ্ন অনেক আছে। কিন্তু কম করে পড়লেও ১৭২-১৭৭ এবং ১৮৮ -এই কয়েকটি ধারা ভালো করেই পড়তে হবে।
একটি বাড়তি ক্লু : এর আগের কয়েকটি অধ্যায়ে একটি মজার বিষয় খেয়াল করেছেন কি? সবগুলো অধ্যায় ১ এর ঘরের সংখ্যা দিয়ে শুরু হয়ে ০ দিয়ে শেষ হয়েছে। ১২১-১৩০, ১৩১-১৪০, ১৪১-১৬০ এবং ১৬১ দিয়ে শুরু। কিন্তু এই অধ্যায়ে এসে ২ দিয়ে শুরু, মানে ১৭২। শেষ হয়েছে কিন্তু আবারো ০ দিয়ে, মানে ১৯০। তার মানে আবারো এর পরের অধ্যায়টি ১৯১ ধারা দিয়ে শুরু। কোনো অধ্যায় মনে রাখার ক্ষেত্রে এগুলো কিন্তু ভালো ট্রিকস। আইনপ্রণেতারা যদি জানতো যে, বাংলাদেশে এইরকম একটি ভয়ংকর এমসিকিউ পরীক্ষা নেওয়া হয় আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হবার জন্য, তাহলে হয়তো তারা আরো সুন্দরভাবে রিদমিক ভঙ্গিতে ধারাগুলো সাজাতেন। হেটার্সরা বলবেন যে, না না, আইনপ্রণেতারা জটিল প্রকৃতির মানুষ। তারা জানলে হয়তো এটিকে আরো বিশৃঙ্খলভাবে বিন্যস্ত করতেন! 🙂 যার যার মত তার তার কাছে।
অধ্যায় ১১। ১৯১ থেকে ২২৯। ‘মিথ্যা সাক্ষ্য ও ন্যায় বিচার বিরোধী অপরাধসমূহ প্রসঙ্গে ’ – এটির শিরোনাম। এই অধ্যায়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অনেক ধারা দেখে ভড়কাবেন না। এখানে বাছাইকৃত আকারে পড়তে হলে ১৯১ থেকে ১৯৫ বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে, আরেকটু সম্ভব হলে ১৯৬ থেকে ২০১ পর্যন্ত এবং ২২৯ ধারাটি। ব্যস। এই অধ্যায়ে ১৯১-১৯৫ পর্যন্ত ধারাগুলো অনেক কমপ্যাক্ট আলোচনা আছে। বই থেকে বারেবারে বোঝার চেষ্টা করবেন। ১৯৩ ধারাটি সবিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।
অধ্যায় ১২। ২৩০ থেকে ২৬৩ক। অনেক দীর্ঘ। ‘মুদ্রা ও সরকারি স্ট্যাম্পসমূহ সম্পর্কিত অপরাধসমূহ প্রসঙ্গে’ – এটির শিরোনাম। অনেক বিস্তৃত আকারে এই অধ্যায় থেকে ছেঁটে ছোট করে পড়া সম্ভব। এর ২৩০-২৩৫ ধারা উল্টেপাল্টে পড়বেন। ধারাগুলোর ভেতরে একধরনের রিদম আছে। পড়লেই চিহ্নিত করতে পারবেন সেগুলো। এর বাইরে ২৪২, ২৫৫, ২৫৬ এবং ২৫৭ ধারা ৪টি পড়বেন। তাহলেই এই অধ্যায় পড়া শেষ।
অধ্যায় ১৩। ২৬৪ থেকে ২৬৭। মাত্র ৪টি ধারা। ‘ওজন ও মাপ সংক্রান্ত অপরাধসমূহ প্রসঙ্গে’ – এটি এর শিরোনাম। সবগুলোতেই একই শাস্তি। ওজন সংক্রান্ত শাস্তি সবই ১ বছরের কারাদণ্ড। মনে রাখা সহজ। পরীক্ষায় ওজন ও মাপ সংক্রান্ত প্রশ্ন এলেই চোখ বন্ধ রেখে ১ বছরের শাস্তি উত্তর দিয়ে দেবেন। 🙂
অধ্যায় ১৪। ধারা ২৬৮ থেকে ২৯৪। ‘জনস্বাস্থ্য, নিরাপত্তা, সুবিধা, শোভনীয়তা ও নৈতিকতা বিরোধী অপরাধসমূহ প্রসঙ্গে’ – এটির শিরোনাম। এখানে অনেকগুলো ধারা যেমন আছে, তেমনি অনেক বিচিত্র টপিকও আছে। এখান থেকে ২৬৮, ২৭২, ২৭৩, ২৭৪, ২৭৯, ২৮৪, ২৮৫, ২৮৮, ২৯২ ধারা কয়েকটি পড়বেন। শাস্তিগুলো সম্পর্কে খেয়াল করলেই দেখবেন যে, সেগুলো সাধারণত একই ধরনের শাস্তি। মনে রাখা খুব কঠিন নয়।
অধ্যায় ১৫। ধারা ২৯৫ থেকে ২৯৮। ‘ধর্ম সংক্রান্ত অপরাধসমূহ সম্পর্কে’ এর শিরোনাম। এটি সিলেবাসে উল্লেখ নেই। তবুও পড়ে রাখতে পারেন। অন্তত ২৯৫ ধারাটি।
‘বিবিধ অপরাধ – ১’ শিরোনামের অন্তর্ভুক্ত অধ্যায়গুলোর ভেতরে একেবারে পুরোপুরি পড়তে হবে ৮ম অধ্যায়টি। এর কোনো ধারাই বাদ দেওয়া যাবে না। এটি পুরোটাই আপনাদেরকে মনে রাখতে হবে। অন্য আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হলো এর ১১তম অধ্যায়টি। এখানে ধারার সংখ্যা বেশি হলেও প্রধানত ৫ টি ধারা অথবা আরেকটু বেশি হলেও ১১/১২ টি ধারা পড়তে হবে। অন্য অধ্যায়গুলো খুব গুরুত্ব দিয়ে না পড়লেও চলবে। তবে আমাদের পরামর্শ থাকবে অন্তত একবার করে পড়ে নেবেন। হয়তো আপনি ভুলেই যাবেন, তবুও পড়বেন। পুরোটা সাধারণভাবে রিডিং দিয়ে পড়েই প্রয়োজনে উপরের আলোচনায় উল্লিখিত বাছাই করা ধারাগুলো সম্ভব হলে মনে রাখবেন।
গুরুত্বপূর্ণ ধারা ও পড়ার নির্দেশনা
১. শুরুতেই ১২৪ক ধারা। এটি ‘রাষ্ট্রদ্রোহিতা’ অপরাধ সংক্রান্ত। এই ধারাটি ফৌজদারি কার্যবিধিা আপিল পড়তে গিয়েও কাজে লাগবে। এমনকি এটি দণ্ডবিধির কোন অধ্যায় এবং অধ্যায়টির শিরোনাম কী সেটাও মনে রাখতে হবে। ব্যস!
২. ধারা ১৪১ থেকে ১৬০ পর্যন্ত ‘জনশৃঙ্খলাবিরোধী অপরাধসমূহ’ প্রসঙ্গ। এর প্রায় অর্ধেক ধারা খুব ভালোভাবে ঠোটস্থ রাখা জরুরি। এর ধারাগুলো গ্রুপ গ্রুপ করে পড়াটা বুদ্ধিমানের কাজ হবে। একটি ছক করেই দিলাম আপনাদের জন্য। গ্রুপগুলো মোটা রেখা দ্বারা নিচের ছকে আলাদা করা আছে।
তার মানে ১৪১-১৪৯ এবং ১৫৯-১৬০ – এই প্রতিটি ধারাই গুরুত্বপূর্ণ। পড়তে হবেই। এখান থেকে প্রশ্ন আসে। এখানে লক্ষ্য করুন যে, আলোচ্য অধ্যায়ে মূলত ৩ টি অপরাধের কথা বলা আছে। বেআইনি সমাবেশ, দাঙ্গা এবং মারামারি।
সমঝদারকে লিয়ে ইশারাই কাফি! উপরের এই ছকটি গুরুত্বপূর্ণ অন্য নানাবিধ কারণে। এখানে দণ্ডবিধির বিভিন্ন অপরাধের সংজ্ঞা ও শাস্তিগুলোর একটি আদর্শ ধরণ বা কাঠামো দেখা যাচ্ছে। দণ্ডবিধির অন্যান্য অধ্যায়ে যেখানে বিভিন্ন অপরাধের সংজ্ঞা দেওয়া আছে বা তার শাস্তি বর্ণনা করা হয়েছে সেখানে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই লক্ষ করবেন যে, প্রথমে এক বা একাধিক ধারায় সংজ্ঞা প্রদান করা হয়েছে এবং ঠিক পরেপরেই এর বিভিন্ন ধরনের শাস্তির কথা বলা হয়েছে। শাস্তির ধারাগুলো খেয়াল করলে আরো দেখবেন যে, প্রথমে সাধারণভাবে একটি অপরাধের শাস্তির কথা বর্ণিত থাকে। পরের ধারাগুলোতে আরো অন্যান্য তীব্রতর পরিস্থিতিতে কীভাবে শাস্তির মাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে সেটাও খেয়াল করার মতো।
উপরের ছকটি ফলে ভালো করে অনুধাবন করতে পারলে দণ্ডবিধির অন্যান্য অধ্যায়গুলোর নিজের সুবিধামতো ছক করে নিলে মেমোরাইজিং খুব দারুণ হবে। দণ্ডবিধির এই অধ্যায়টি মনপ্রাণ ঢেলে পড়ুন, পরের পড়াগুলো সহজে ধরা দেবে।
৩. ধারা ১৬১ থেকে ১৭১ঝ পর্যন্ত এবার। এখান থেকে মূলত ১৬১, ১৭০ এবং ১৭১ ধারা তিনটি পড়বেন। ১৬১ ধারাটিতে একইসাথে সংজ্ঞা ও শাস্তি বর্ণিত আছে। এটি ঘুষের ধারা হিসেবে পরিচিত। ঘুষের শাস্তি ৩ বছরের কারাদণ্ড।
৪. ধারা ১৭২ থেকে ১৯০ পর্যন্ত সরকারি কর্মচারীদের আইনগত কর্তৃত্বের অবমাননা প্রসঙ্গে। আর এর আগেরটি ছিলো সরকারি কর্মচারী কর্তৃক ও তাদের বিরুদ্ধে অপরাধসমূহ। দুটোই সরকার ও সরকারি কর্মচারী সম্পর্কিত। বিষয়টি লক্ষ রাখবেন।
সরকারি কর্মচারী বা কর্মকর্তা কোনো আইনসম্মত কাজের দায়িত্ব পান তখন সেটাতে বাধা দেওয়া বা অমান্য করা একটি অপরাধ। ধরা যাক, সমন মারফত কোনো একজনকে কোনো মামলার স্বাক্ষী হিসেবে কোনো আদালত হাজির হবার নির্দেশ প্রদান করলো। কিন্তু সে হাজির না হয়ে আদালতের নির্দেশ বা সরকারি কর্মকর্তার আইনসম্মত নির্দেশ পালন না করে সেটার অবমাননা করলো। এক্ষেত্রে এটি একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। আবার এ রকম কোনো আইনসম্মত কাজকে কেউ বাধা প্রদান করলো, সেটাও দণ্ডবিধি অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এই সমস্ত বিষয় নিয়েই এই অংশের আলোচনা। এখানে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে ১৭২ ও ১৭৫ এই ধারা দুইটি পড়বেন। ধৈর্য্যে ব্যাঘাত না ঘটলে ১৭৭ পর্যন্ত ধারাগুলো পড়বেন।
৫. ধারা ১৯১-২২৯ পর্যন্ত মিথ্যা সাক্ষ্য ও ন্যায় বিচারের বিরুদ্ধে অপরাধসমূহ প্রসঙ্গে আলোচনা। এখান থেকে ১৯১-১৯৫ পর্যন্ত ৫টি ধারা ভালোভাবে আত্মস্থ করলেই চলে। এর সাথে ২১১ ধারাটি বিশেষভাবে দেখবেন। এটি কিন্তু দণ্ডবিধির খুবই গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়।
৬. দণ্ডবিধির অধ্যায় ১২, ১৩ ও ১৪ থেকে মুদ্রা, ওজন, জনস্বাস্থ্য, নৈতিকতা ইত্যাদি সংক্রান্ত অপরাধগুলোর ভেতরে বাছাই করে কী কী পড়বেন তা আমাদের মডেল টেস্ট বইয়ে সাজেশন আকারে দেয়া আছে, দেখে নেবেন ।
আজ এটুকুই। আপনাদের সব্বার জন্য শুভকামনা আমার পক্ষ থেকে।
লেখক : আইনজীবী ও ‘আইনের ধারাপাত – MCQ মডেল টেস্ট বুক’ এর রচয়িতা এবং ফাউন্ডার – juicylaw.com