বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী আবদুল্লাহ আল নোমানের বিরুদ্ধে ২২ বছর ধরে ঝুলে আছে একটি দুর্নীতির মামলা। জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের এ মামলা তিন মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আজ বুধবার (২৬ জুন) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে নোমানের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. শাজাহান, আর দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। এছাড়া, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ১৯৯৭ সালের ৭ আগস্ট তৎকালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরো নোমানের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে তার সম্পদের বিবরণী জানতে চেয়ে নোটিশ পাঠায়। কিন্তু সম্পদের বিবরণী দাখিল না করায়, দুদক কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল জাহিদ বাদী হয়ে নোমানের বিরুদ্ধে ১৯৯৮ সালের ১৯ আগস্ট ধানমন্ডি থানায় মামলা দায়ের করেন। এরপর জাহিদ নিজেই মামলাটির তদন্ত করে ২০০০ সালের ফেব্রুয়ারিতে অভিযোগ পত্র দাখিল করেন।
পরে আবদুল্লাহ আল নোমান তার বিরুদ্ধে দুদকের দায়ের করা মামলায় সাক্ষীদের সঠিকভাবে জেরা করতে পারেননি বলে ঢাকার বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতে সাক্ষীদের পুনরায় জেরা করার আবেদন জানান। তবে তার সেই আবেদন আদালতে নামঞ্জুর হয়। এরপর নামঞ্জুর আদেশের বিরুদ্ধে নোমান হাইকোর্টে আবেদন করেন এবং মামলাটির কার্যক্রম স্থগিত চান। এরই ধারাবাহিকতায় মামলাটির কার্যক্রম ২২ বছর ধরে স্থগিত হয়ে আছে।