অচিরেই সারাদেশে একযোগে মুক্তিযোদ্ধাদের ডিজিটাল সদন দেয়া হবে বলে সংসদকে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ. ক. ম. মোজাম্মেল হক।
আজ শনিবার (২৯ জুন) জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তর পর্বে মন্ত্রী এ তথ্য জানান। ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়ার সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপিত হয়।
প্রশ্নোত্তর পর্বে সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য হাবিবা রহমান খানের টেবিলে উত্থাপিত এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ডিজিটাইজেশন তথ্যের ডাটাবেজ সংরক্ষিত আছে। ডাটাবেজ বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল-বিসিসির ডাটা সেন্টারে সংরক্ষিত আছে। ডাটাবেজে মুক্তিযোদ্ধাদের ভারতীয় তালিকা, লাল মুক্তিবার্তা, সাময়িক সনদসহ বিভিন্ন ধরনের গেজেটের ডিজিটাইজেনশন করা তথ্য সংরক্ষিত রয়েছে যা মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তথ্য বাতায়নে প্রদর্শিত হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘দেশের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ডিজিটাল সার্টিফিকেট বা পরিচয়পত্র প্রদানের পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে। এ লক্ষ্যে মুক্তিযোদ্ধাদের অনুকূলে ডিজিটাল সনদ প্রদান কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন। অচিরেই সারাদেশের একদিনে একযোগে ডিজিটাল সনদ প্রদান করা হবে।’
এছাড়া, সরকারি দলের সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরীর এক প্রশ্নের জবাবে মোজাম্মেল হক জানান, মুক্তিযোদ্ধা না হয়েও মুক্তিযোদ্ধার সুযোগ সুবিধা ভোগকারী তিন হাজার ১০৭ জনের গেজেট ও সনদ বাতিল করা হয়েছে।
তবে যাদের গেজেট ও সনদ বাতিল করা হয়েছে, তাদের নামের তালিকা সংসদে উপস্থাপন করা হয়নি।
এছাড়া মন্ত্রী আরও জানান, গত ১০ বছরে বাদ পড়া ৪ হাজার ১৮৮ জন মুক্তিযোদ্ধার নাম গেজেটভুক্তির জন্য সরকারের কাছে সুপারিশ করা হয়েছে।