বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত দুই নম্বর আসামি রিফাত ফরাজীকে (২৩) গ্রেপ্তার করেছে বরগুনা থানা-পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার রাত আড়াইটার দিকে তাঁকে বরগুনা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আজ বুধবার (৩ জুলাই) সকাল ৯টায় বরগুনা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ এ তথ্য জানায়।
সংবাদ সম্মেলনে এ সময় উপস্থিত ছিলেন বরিশাল বিভাগের উপ মহাপরিদর্শক শফিকুল ইসলাম ও বরগুনা পুলিশ সুপার মো. মারুফ হোসেন। এ সময় আসামি রিফাত ফরাজীকে উপস্থিত করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, রিফাত ফরাজীকে গ্রেপ্তারে ৭ দিন ধরে অভিযান অভিযান পরিচালনা করা হয়। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল রাতে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ নিয়ে এই মামলায় এখন পর্যন্ত ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গতকাল মঙ্গলবার ভোররাত সোয়া চারটার দিকে বরগুনা সদরের বুড়িরচর ইউনিয়নের পূর্ব বুড়িরচর গ্রামে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন এই হত্যা মামলার প্রধান আসামি সাব্বির আহম্মেদ ওরফে নয়ন বন্ড (২৫)।
এর আগে এ মামলায় গ্রেপ্তার হন চন্দন (২১), মো. হাসান (১৯), অলিউল্লাহ (২২) টিকটক হৃদয় (২১)। তাঁরা এজাহারভুক্ত আসামি। সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তার হন নাজমুল ইসলাম (১৮), সাগর (১৯), তানভীর (২২), কামরুল হাসান ওরফে সাইমুন (২১। অপর একজনের নাম পুলিশ প্রকাশ করেনি।
গত ২৬ জুন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বরগুনা সরকারি কলেজের মূল ফটকের সামনের রাস্তায় প্রকাশ্যে কুপিয়ে জখম করা হয় রিফাত শরীফ নামের এক তরুণকে। এ সময় বরগুনা সরকারি কলেজের স্নাতক প্রথম বর্ষের ছাত্রী আয়েশা সিদ্দিকা তাঁর স্বামীকে রক্ষার জন্য প্রাণপণ চেষ্টা চালান। কিন্তু সন্ত্রাসীরা তাঁকে (রিফাত) উপর্যুপরি কুপিয়ে গুরুতর জখম করে পালিয়ে যায়। বেলা তিনটার দিকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রিফাতের মৃত্যু হয়। জনবহুল এলাকায় এমন নৃশংস হামলার ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়লে সারা দেশে বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভের ঝড় ওঠে।