অ্যাডভোকেট মুরাদ মোর্শেদ:
এবারে দণ্ডবিধির অতি গুরুত্বপূর্ণ অংশ ‘দেহ ও জীবন সংক্রান্ত অপরাধসমূহ’ নিয়ে একটা ওভারভিউ দেবো। এই অংশে একটিই মাত্র অধ্যায়। অধ্যায় ১৬। ধারার বিস্তৃতি ২৯৯-৩৭৭। অনেক দীর্ঘ। কিন্তু ভাবুন যে, দেহ ও জীবন সংক্রান্ত প্রায় সমস্ত ফৌজদারি অপরাধের বর্ণনা, সংজ্ঞা, ব্যতিক্রম বা শর্তসমূহ ইত্যাদি এই অংশে বর্ণিত আছে। এই অধ্যায়ে অনেকগুলো উপশিরোনামের অধীনে বেশ কিছু টপিক বর্ণিত আছে। দেহ ও জীবন সংক্রান্ত অপরাধের এই অংশে মূল আইনেই যে যে উপশিরোনামের অধীনে ধারাগুলো বিন্যস্ত আছে সেগুলো শুরুতেই একনজর দেখে নেওয়া ভালো।
প্রথমেই আসা যাক, এর একেবারে প্রথম অংশ ‘জীবন সংক্রান্ত অপরাধসমূহ প্রসঙ্গে’। এর বিস্তৃতি ২৯৯-৩১৮ পর্যন্ত। এর ভেতরেই খুন সংক্রান্ত ধারা, এর শাস্তি, আত্মহত্যা, গর্ভপাতকরণ ইত্যাদি বিষয়ে ধারাগুলো বর্ণিত আছে। এখানকার ৩১১ পর্যন্ত প্রতিটি ধারা এবং ৩১২ থেকে ৩১৮ এর বাছাই করা কিছু ধারা পড়া দরকার। এই অধ্যায়টি পরীক্ষার জন্য সবিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। কয়েকটি করে প্রশ্ন এসে থাকে এই অংশ থেকেই। খুন আর নিন্দনীয় খুনের উপলব্ধি ভালোভাবে না করতে পারলে ধারাগুলোতে থাকা উদাহরণগুলো ভালোভাবে বোঝার চেষ্টা করবেন। উদাহরণগুলো থেকেই কিন্তু অনেক সময় প্রশ্ন এসে থাকে। ৩১১ পর্যন্ত ধারাগুলোর কীভাবে ধারা ও ধারার বিষয়বস্তু মনে রাখবেন সে বিষয়ে একটি চার্ট দেওয়া থাকলো নিচে।
এরপরে ‘আঘাত সম্পর্কিত’ উপশিরোনামে ৩১৯-৩৩৮ক পর্যন্ত ধারাগুলো। বলা বাহুল্য যে, দেহ ও জীবন সংক্রান্ত কোনো ফৌজদারি অপরাধের বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আঘাত একটি পূর্বশর্ত। যদিও আঘাত করা ছাড়াও এ ধরনের অপরাধ সংঘটিত হতে পারে। আঘাত সংক্রান্ত এই অংশটিও খুব গুরুত্বপূর্ণ। আঘাত সংক্রান্ত ধারণাগুলো বেশ পোক্তভাবে উপলব্ধিতে নিতে হবে। বিশেষ বা ভিন্ন ভিন্ন পরিস্থিতিতে শাস্তির তারতম্যগুলো মনেও রাখতে হবে। আঘাত নিয়ে এই অংশের আলোচনায় ৩৩৪ ও ৩৩৫ ধারা দুইটি কিন্তু বিশেষ ব্যতিক্রম। পড়তে পড়তে এই দুইটি ধারার সাথে সম্পর্কিত করে কয়েকটি ধারা পড়তে হবে। খেয়াল রাখবেন। কম করে পড়তে চাইলে ৩১৯-৩২৬ক পর্যন্ত সবই, ৩৩৪, ৩৩৫ এবং ৩৩৮ক এই কয়েকটি ধারাও বাদ দেওয়া যাবেনা। শাস্তির ধারাগুলো মনে রাখার জন্য আরেকটি চার্ট দেওয়া থাকলো নিচে।
এরপরে ‘অবৈধ বাধা ও অবৈধ অবরোধ সম্পর্কে’ উপশিরোনামে ৩৩৯-৩৪৮ পর্যন্ত। অবৈধ বাধা এবং অবৈধ অবরোধ ধারণা দুইটি অত্যন্ত সহজ। ধারা এবং তার উদাহরণগুলো একবার মনোযোগী পাঠেই আত্মস্থ করতে পারবেন। চিরুনি অভিযানের পাঠকদের জন্য বইয়ে যেভাবে আলোচনা আছে তা আপনার খুবই কাজে দেবে বলে আশাবাদী। ৩৪৫ থেকে ৩৪৮ ধারাগুলো স্কিপ করে যেতে পারেন। এই অংশের বাকী ৬টি ধারা কিন্তু ঠোটস্থ করে ফেলতে হবে।
তারও পরে এবার ‘অপরাধমূলক বলপ্রয়োগ ও আক্রমণ প্রসঙ্গে’ উপশিরোনামে ৩৪৯-৩৫৮ পর্যন্ত। এখানে বলপ্রয়োগ এর সংজ্ঞা আছে। সেটিকে কেন্দ্র করেই ‘অপরাধমূলক বলপ্রয়োগ’ এর সংজ্ঞায়ন করা হয়েছে। এর বাইরে ‘আক্রমণ’ এর সংজ্ঞাও রয়েছে। সংজ্ঞাগুলো অবশ্যই ভালো করে বুঝে পড়বেন। উদাহরণগুলো জরুরি। ৩৪৯ থেকে ৩৫৪ এবং ৩৫৮ – এগুলো মনে রাখতে হবে।
এর পরে রয়েছে ‘মনুষ্যহরণ, অপহরণ, দাস ব্যবসায় ও বলপূর্বক শ্রম আদায় প্রসঙ্গে’ শিরোনামে ৩৫৯ থেকে ৩৭৪ ধারা পর্যন্ত। মনুষ্যহরণ ও অপহরণ নিয়ে গোলমাল বেধে যায় কিন্তু প্রায়ই। ধারাগুলো বাংলায় পড়ার পাশাপাশি ইংরেজি অংশটুকুনও ভালো করে দেখবেন সম্ভব হলে। চিরুনি অভিযান বইয়ে এ নিয়ে তুলনামূলক বিস্তারিত আলোচনাই রয়েছে। একটা বিষয় মাথায় রাখবেন যে, মনুষ্যহরণ বা অপহরণ যেটিই হোক না কেন, এই দুইটি একসাথে ‘অথবা’ শব্দবন্ধ দিয়ে ব্যবহৃত হয়েছে বিশেষত এগুলোর শাস্তি বর্ণনা করার সময়। অপহরণের শাস্তির কথা আলাদাভাবে বা স্বতন্ত্র্যভাবে দণ্ডবিধিতে বর্ণিত নেই। ৩৫৯ থেকে ৩৬৬, ৩৬৯ এবং ৩৭৪ এই ধারা কয়েকটি ঠিকঠাক পড়তে হবে।
এর পরে দীর্ঘ ১৬ অধ্যায়টির আর মাত্র তিনটি ধারা অবশিষ্ট আছে। সেটিও আবার দুইটি আলাদা উপশিরোনামে বিভক্ত। ৩৭৫ ও ৩৭৬ ধারা দুইটি ‘ধর্ষণ প্রসঙ্গে’ উপশিরোনামে। আর এই অধ্যায়ের শেষ ধারাটি ৩৭৭ এ বর্ণিত আছে ‘অস্বাভাবিক অপরাধ প্রসঙ্গে’। অস্বাভাবিক অপরাধ বলতে যা স্বাভাবিক নয় এমনতর যৌন আচরণের কথা বলা আছে প্রধানত। যেমন, সমকামিতা। অথবা কোনো পশুর সাথে যৌন সঙ্গম। যতোই গা রিরি করুক এটিও আপনাকে পড়তে হবে। অন্যদিকে ধর্ষণ নিয়ে মাত্র দুইটি ধারা এনগেজ থাকলেও খুব ভালো করে এর ডিটেইলগুলো মনে রাখতে হবে। বুদ্ধিমান-বুদ্ধিমতী শিক্ষার্থীদের বিশেষত ১২ ও ১৩ বছর বয়সী স্ত্রীকে ধর্ষণের শাস্তির বিষয়টি নিয়ে মনে প্রশ্ন দেখা দিতে পারে। চিরুনি পাঠকরা আলোচনা পাবেন বইয়ে। কিন্তু এইসব প্রশ্ন বা কনফিউশন মনে থাকলেও সেটিকে দুরে সরিয়ে দিয়ে পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য বিষয়গুলো ধারাতে যেভাবে বর্ণিত আছে সেভাবেই মনে রাখতে চেষ্টা করবেন।
তাহলে, এই হলো ১৬ অধ্যায়টির [২৯৯ থেকে ৩৭৭ ধারা] সংক্ষিপ্ত পরিচয়। আবারো স্মরণ করিয়ে দেই যে, এই পুরো অধ্যায়টিতে অনেকগুলো উপশিরোনামের অধীনে দণ্ডবিধিতে বর্ণিত প্রধানতম অপরাধ – ‘দেহ ও জীবন সংক্রান্ত অপরাধসমূহ প্রসঙ্গে’ আলোচনা আছে। এই অধ্যায়টি পরীক্ষার জন্য জরুরিতো বটেই, বাস্তব ব্যবহারিক জীবনেও একজন আইনের শিক্ষার্থীর এগুলো জানা থাকাটা বাধ্যতামূলক।
গুরুত্বপূর্ণ ধারা ও পড়ার নির্দেশনা
১. আমরা প্রথমেই ২৯৯ থেকে ৩১১ পর্যন্ত প্রতিটি ধারার বিষয়বস্তু এবং এগুলোর বৈশিষ্ট্যগুলো ও আন্তসম্পর্ক দেখে নিই নিচের ছকে।
তাহলে কী দাঁড়ালো ব্যাপারটা? ২৯৯, ৩০৪, ৩০৮ একনাগাড়ে জপ করতে থাকুন। আর এটি পর্যাপ্ত জপ করে হজম হয়ে গেলে এবার এর শাস্তির পরিমাণগুলো হেফজ করুন।
২৯৯ ও ৩০০ ধারা পড়ার ক্ষেত্রে এর উদাহরণগুলো ভালো করে দেখবেন। এসব থেকে প্রশ্ন আসতে পারে। আর বেশিরভাগ প্রশ্ন আসে মূলত এই অংশের শাস্তিগুলো থেকে বা ধারাভিত্তিক প্রশ্ন।
আর বাকী অন্যান্য বিষয়ের ধারাগুলো জোড়ায় জোড়ায় পড়ার পরামর্শ দিয়েছি। ৩০৪ক ও ৩০৪খ একসাথে পড়বেন। এই দুইটি ধারাই অবহেলা বিষয়ে। অর্থাৎ অবহেলার কারণে কোনো প্রাণ বা জীবন হানি হলে কী হবে সেটা বলা আছে। অন্যদিকে, আগেই জেনেছেন যে, যেকোনোরকমে প্ররোচনা দিলেই সেটি অপরাধ। আত্মহত্যায় প্ররোচনা দিলেতো বটেই! আত্মহত্যায় আবার দুইরকমের ভিন্ন পরিস্থিতিতে প্ররোচনা দেওয়া যেতে পারে। একটি অবুঝ শিশু বা উন্মাদের ক্ষেত্রে আত্মহত্যায় প্ররোচনা, অন্যটি সাধারণভাবে আত্মহত্যায় প্ররোচনা। ৩০৫ ও ৩০৬ ধারা।
ওদিকে সবশেষে আবার ঠগ এর সংজ্ঞা ও ঠগের সাজা পরপর দুইটি ধারায়। ৩১০ ও ৩১১। এটিও জোড়া ধারা হিসেবে বা একত্রে মনে রাখতে হবে।
হারাধনের ১৫ টি ধারার ভেতরে একটি ধারা বাদ থাকলো। ধারা ৩০৯। এটি কিন্তু খানিকটা অদ্ভুত ধারা। যে ব্যক্তি আত্মহত্যার চেষ্টা করলো কিন্তু পেরে উঠলো না, তার জন্যও শাস্তির বিধান আছে দণ্ডবিধিতে। ৩০৯ ধারায়। আত্মহত্যায় ব্যর্থ হলেই কিন্তু শাস্তি! আত্মহত্যায় ব্যর্থ হওয়া যাবেনা, যাবেনা, যাবেনা! 🙂 এরও পরে ৩১২, ৩১৫ ও ৩১৭ ধারা তিনটি দেখে নেবেন।
২. ধারা ৩১৯ থেকে ৩৩৮ক পর্যন্ত আঘাত নিয়ে আলোচনা। এখানে ৩১৯ থেকে ৩২৬ক ধারা পর্যন্ত প্রতিটি ধারা এবং ৩৩৪, ৩৩৫ এবং ৩৩৮ক ধারাগুলো একেবারে পুরোটা ঠোটস্থ করে রাখতে হবে। এর কোনোই বিকল্প নেই। এটি নিচের ছকের মতো করে মনে রাখতে খুব কঠিন হবেনা।
আর তারপরেই আরো দুইটি ধারার শিরোনাম ভালো করে লক্ষ্য করলে দেখবেন যে, সেখানে উপরোক্ত দুইটি ধারণাকেই ব্যাখ্যা করা হয়েছে, কিন্তু সাথে জুড়ে দেওয়া হয়েছে ‘ইচ্ছাকৃতভাবে’ শব্দটি। আপনারা জানেন যে, ‘ইচ্ছাকৃতভাবে’ শব্দটির সংজ্ঞা দেওয়া আছে দণ্ডবিধির শুরুতেই। সেই সংজ্ঞা অনুযায়ীই এটিকে বুঝতে হবে। উপরন্তু, এই শব্দটি জুড়ে দেবার উদ্দেশ্য হলো – যেকোনো আঘাত নিরঙ্কুশ স্বেচ্ছায় কেউ করতে পারে, আবার এমনও হতে পারে যে, কারো ক্রমাগত উস্কানির মুখে একজন আরেকজনকে আঘাত করে বসতে পারে। এরূপ অবস্থায় সেটিকে পৃথক করার প্রয়োজন পড়েছে। অর্থাৎ, ধরুন কেউ আপনাকে ক্রমাগত আজেবাজে কথা বলে আপনাকে উস্কানি দিচ্ছে এবং আপনি ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে আঘাত করলেন। এই ধরনের আঘাতের ক্ষেত্রে উক্ত আজেবাজে কথা ছুড়ে দেওয়া লোকটিরও কিছু দায় আছে। সে আপনাকে এমনভাবে ক্ষিপ্ত করে তুলেছে যে, আপনি রাগ সংবরণ করতে না পেরে তাকে মেরে দিয়েছেন। এক্ষেত্রে আপনার আঘাতটি নিরঙ্কুশভাবে ‘ইচ্ছাকৃতভাবে’ নয়। আপনার আঘাতটি ঘটেছে প্ররোচনার দরুণ [On provocation]।
যেহেতু, প্ররোচনার ফলে আঘাত বা গুরুতর আঘাত করা যায়, ফলে সেটি থেকে পৃথক করার জন্যই ‘ইচ্ছাকৃতভাবে’ শব্দটি বসিয়ে এটিকে নির্দিষ্টভাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে। যাই হোক, অর্থাৎ ৩১৯ ও ৩২০ এ সাধারণভাবে আঘাত ও গুরুতর আঘাতের সংজ্ঞা। অন্যদিকে, ৩২১ ও ৩২২ এ ‘ইচ্ছাকৃতভাবে’ আঘাত ও ‘ইচ্ছাকৃতভাবে’ গুরুতর আঘাতের সংজ্ঞা।
এবার শাস্তির ধারাগুলো দেখুন। ৩২৩ ধারায় ইচ্ছাকৃতভাবে আঘাতের সাজা। আর ৩২৪ এ ইচ্ছাকৃতভাবে ‘মারাত্মক অস্ত্র’ দ্বারা আঘাতের সাজা। অন্যদিকে ঠিক তার পরের দুইটি ধারাতেই, ৩২৫ ও ৩২৬ ধারায়, ইচ্ছাকৃতভাবে গুরুতর আঘাতের সাজা এবং ইচ্ছাকৃতভাবে ‘মারাত্মক অস্ত্র’ দ্বারা গুরুতর আঘাতের সাজা। এই ৪টি ধারার পরেই ৩২৬ক ধারা আছে। এটিও একটি শাস্তির ধারা। এটি সম্পর্কিত ‘গুরুতর আঘাত’ এর সাথে। আঘাত সম্পর্কিত এই ধারার শাস্তি দণ্ডবিধির সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান আছে। এই ৫টিই প্রধানতম শাস্তির ধারা আঘাত সম্পর্কিত। শাস্তি সংক্রান্ত অন্যান্য ধারাগুলো স্কিপ করা যেতে পারে।
উপরে যে, প্ররোচনার দরুণ আঘাতের একটি ধরনের কথা বলা হলো, সেক্ষেত্রেও শাস্তির দুইটি ধারা আছে। ৩৩৪ ও ৩৩৫ ধারা। এই ধারা দুইটিতে শাস্তি তুলনামূলক কম। ৩২৩, ৩২৪ এবং ৩২৫, ৩২৬, ৩২৬ক এই ৫ টি ধারায় যথাক্রমে ৩৩৪ এবং ৩৩৫ ধারার ব্যতিক্রমসাপেক্ষে বিবেচনা করতে হবে সেটি বলা আছে। এই ব্যতিক্রমের প্রসঙ্গটি ভোলা যাবেনা এবং শাস্তির পরিমাণও মনে রাখতে হবে।
এই সবগুলো ধারার মধ্যে একটি রিদম বা ছন্দ আছে। এটিকে ছন্দে ছন্দে মনে রাখাটা একদম সহজ। রিদমটি নিচের ইমেজে আরেকবার গুছিয়ে দিলাম। দেখুন।
৩. ধারা ৩৩৯ থেকে ৩৪৮ পর্যন্ত অবৈধ বাধা ও অবৈধ অবরোধ নিয়ে আলোচনা। এখান থেকে অন্তত ৩৩৯ থেকে ৩৪৪ পর্যন্ত সবগুলো ধারাই ভালোভাবে পড়তে হবে। উপরে দেওয়া আঘাত সম্পর্কিত ছকের মতো কিছুটা এখানেও ছক করে নিতে পারবেন। নিজের মতো সাজিয়ে নিন। আমরা পরে অনলাইনে এর আরো বিস্তারিত দেবো।
আবার, অপরাধমূলক বলপ্রয়োগ এবং আক্রমণ নিয়ে ৩৪৯ থেকে ৩৫৮ ধারা পর্যন্ত আলোচনা। এখানেও ৩৪৯ থেকে ৩৫৪ পর্যন্ত সবগুলো ধারা এবং ৩৫৮ ধারাটি পড়তে হবে। ৩৫৮ ধারাটি আঘাত সম্পর্কিত ৩৩৪ ও ৩৩৫ এর মতো খানিকটা। এখানে প্ররোচনার কথা বলা হয়েছে। অন্যের প্ররোচনার দরুণ যখন কোনো অপরাধ হয় সেই অপরাধে সাধারণত শাস্তি কম হয়ে থাকে। এই বিষয়টি ভুলবেন না। ৩৫৮ ধারাটি এজন্যই জেনে রাখা জরুরি।
৪. ধর্ষণ সংক্রান্ত ৩৭৫, ৩৭৬ এবং অস্বাভাবিক অপরাধ প্রসঙ্গে ৩৭৭ ধারার একটি লাইনও বাদ না দিয়ে পড়তে হবে। আর এবাদে ৩৫৯ থেকে ৩৭৪ পর্যন্ত থাকা মনুষ্যহরণ, অপহরণ ইত্যাদি নিয়ে থাকা ধারাগুলোর ভেতরে ৩৫৯ থেকে ৩৬৪ক পর্যন্ত ও ৩৭৪ ধারাটি গুরুত্ব দিয়ে পড়তে হবে।
আজ এটুকুই। সকল শিক্ষার্থী-পরীক্ষার্থীর জন্য শুভকামনা আমার পক্ষ থেকে।
লেখক : আইনজীবী ও ‘আইনের ধারাপাত – MCQ মডেল টেস্ট বুক’ এর রচয়িতা এবং ফাউন্ডার – juicylaw.com