কাঁঠালের ভেতর ইয়াবা বড়িসহ পুলিশের বরখাস্ত হওয়া উপপরিদর্শক (এসআই) বাবলু খন্দকার ও তাঁর স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। র্যাব-৪–এর একটি দল বুধবার (৩ জুলাই) চট্টগ্রাম থেকে বাসে পুরান ঢাকার গেন্ডারিয়ায় নামার পর তাঁদের গ্রেপ্তার করে।
র্যাব সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম রেলওয়ে পুলিশের বরখাস্ত হওয়া এসআই বাবলু খন্দকার (৫২) ও তাঁর স্ত্রী শিউলি আক্তারকে (৩৯) নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় তাঁর শ্বশুরবাড়ি থেকে একটি বাসে কাঁঠালের ভেতর ইয়াবা বড়ি নিয়ে ঢাকায় আসার খবর পায় র্যাব। পরে র্যাবের একটি দল অভিযান চালিয়ে কাঁঠালের ভেতর থেকে ১০ হাজার ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করে এবং তাঁদের গ্রেপ্তার করে। এরপর তাঁদের মিরপুরের পাইকপাড়ায় র্যাব-৪–এর কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
র্যাব-৪–এর পরিচালক পুলিশের অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক মো. মোজাম্মেল হক গণমাধ্যমকে বলেন, গত বছর চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ ২০ হাজার ইয়াবা বড়িসহ বাবলুর এক সহকর্মীকে গ্রেপ্তার করে। এই ঘটনায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হলে ওই ব্যক্তি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। জবানবন্দিতে তিনি বলেন, ইয়াবার চালানটি চট্টগ্রাম রেলওয়ে পুলিশের এসআই বাবলু খন্দকারের। ওই ঘটনায় চট্টগ্রাম রেলওয়ে পুলিশ বাবলু খন্দকারকে সাময়িক বরখাস্ত করেছিল। এরপর থেকে তিনি পলাতক ছিলেন।
অভিযান পরিচালনাকারী র্যাব-৪–এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর কাজী সাইফুদ্দিন আহমেদ বলেন, বাবলু পুলিশের চাকরির আড়ালে মাদক ব্যবসা চালিয়ে আসছিলেন। শিউলি বাবলুর দ্বিতীয় স্ত্রী। শিউলির পরিবার মাদক ব্যবসায় জড়িত। তাঁর বিরুদ্ধে ঢাকার ক্যান্টনমেন্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা র্যাবকে বলেছেন, ইয়াবার চালান পৌঁছে দিতে তাঁরা ঢাকায় এসেছিলেন।
তাঁরা কাদের সঙ্গে মাদক ব্যবসা করতেন। তাঁদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলে জানায় র্যাব। গ্রেপ্তার এই স্বামী-স্ত্রীর বিরুদ্ধে যাত্রাবাড়ী থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা প্রক্রিয়াধীন। গ্রেপ্তার বাবলুর বাড়ি নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার মাইগ্রামে।