মাওবাদের প্রতি বিশ্বাস কোনও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড নয়; কেরালার নিম্ন আদালতের দেওয়া এই রায় বহাল রেখেছে সেখানকার উচ্চ আদালত। সেই সঙ্গে ব্যক্তি স্বাধীনতা ও গোপনীয়তার অধিকার খর্ব করার দায়ে কেরালা পুলিশকে দেওয়া এক লাখ টাকা জরিমানার নির্দেশও বহাল থাকছে।
ষাটের দশকের শেষ দিকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং জেলার নকশালবাড়ী থেকে মাওবাদী আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে। তবে নকশালপন্থী আন্দোলন সত্তরের দশকের প্রথমার্ধ্ব থেকেই গতি হারাতে শুরু করেছিল। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ভারতের ছত্তিশগড়ের জঙ্গলসহ ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে আবারও মাওবাদী আন্দোলন জোরালো হতে শুরু করে।
মাওবাদী তকমা দিয়ে ২০১৪ সালের ২০ মে কেরালার শ্যাম বালাকৃষ্ণনের বাড়ি ওয়ারেন্ট ছাড়াই তল্লাশি করে পুলিশ। বাড়ি থেকে আপত্তিজনক কিছু না পাওয়া গেলেও তাকে আটকে রাখার জন্য কেরালা পুলিশের বিরুদ্ধে নিম্ম আদালতে মামলা করেন বালাকৃষ্ণন। তখন ব্যক্তি স্বাধীনতা ও গোপনীয়তার অধিকার খর্ব করায় কেরালা পুলিশকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
নিম্ন আদালতের রায়ে বলা হয়েছিল, ‘কারোর বিশ্বাস কী হবে, তা ঠিক করে দিতে পারে না প্রশাসন। মাওবাদে বিশ্বাস রাখলেই কেউ অপরাধী হয়ে যায় না।’
এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টে যায় কেরালা পুলিশ। তবে গত সোমবার (৮ জুলাই) হাইকোর্ট নিম্ন আদালতের রায়ই বহাল রেখেছে।