সরকারি মামলা পরিচালনায় ৩০ শতাংশ প্রসিকিউটর (সরকারি আইন কর্মকর্তা) জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগ দেওয়া হবে বলে জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।
ডিসি সম্মেলনের তৃতীয় দিন মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের কার্য-অধিবেশনে তিনি ডিসিদের এ তথ্য দেন।
সভা শেষে আইনমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, “আলোচ্যপত্রে নয়টি আলোচনার বিষয় ছিল, তার মধ্যে ইন্ডিপেনডেন্ট প্রসিকিউশন সার্ভিস নিয়ে কথা ছিল।
“আগেই জানিয়েছি যে, এখন যে প্রসিকিউশন সার্ভিস আছে তার ৩০ শতাংশ ইন্ডিপেনডেন্ট প্রসিকিউশন সার্ভিস করার চিন্তা করছি।”
আনিসুল বলেন, “মামলা-মকদ্দমা যেগুলো চলে সেগুলো নিয়ে কমিউনিকেশন গ্যাপ আছে (ডিসিদের সঙ্গে), আলোচনায় সেটাই বেরিয়ে এসেছে। এই গ্যাপ দূর করতে যেসব পদক্ষেপ নিতে হবে সেগুলো আমি নেব বলে উনাদের বলেছি।
“হাই কোর্টে যেসব মামলা হয় সেসব মামলা সমন্ধে তারা যেন তড়িৎ জানতে পারেন। আমি অ্যাটর্নি জেনারেলের সঙ্গে কথা বলব। সুপ্রিম কোর্টে যথেষ্ট সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল নিয়োগ দিয়েছি। পাঁচ-সাতজনের সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলের একটি টিম করে দেব যারা ৬৪ জেলার সঙ্গে মামলার বিষয়ে যোগাযোগ রাখবেন যাতে কমিউনিকেশন এবং মামলা তড়িৎ নিষ্পত্তি হওয়ার একটা ব্যবস্থা হবে।”
মন্ত্রী বলেন, “কিছু ফৌজদারি ধারা এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটদের দেওয়ার বিষয়ে আমরা যে বক্তব্য দিয়েছি সেটা হল- এটা করতে গেলে আইন সংশোধন করতে হবে। আইন যেহেতু সংশোধন করতে হবে এটা এখন হবে, আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে দেখা যাবে এটার প্রয়োজন কি না।”
প্রত্যেক ডিসি সম্মেলনে এ বিষয়ে প্রশ্ন আসায় এ নিয়ে কথা বলতে হয় বলেও জানান আইনমন্ত্রী।