ঢাকা সিটি কর্পোরেশনে মশা নিধনের ওষুধ কেন কাজ করছে না এবং যারা এ ওষুধ আমদানি করছে তা ভেজাল কি না, এর সঙ্গে কারা জড়িত তা তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
জনস্বার্থে দায়ের করা এক রিট আবেদনের শুনানিতে আজ বুধবার (১৭ জুলাই) বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এছাড়াও মশা নিধনে কার্যকর ওষুধ আনা এবং তা ছিটানোর জন্য অতিদ্রুত পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এতে প্রয়োজনে সরকারের সহায়তা নিতে হবে।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। সিটি করপোরেশনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী নুরুন্নাহার নুপুর।
আদেশের পর মনজিল মোরসেদ বলেন, সিটি করপোরেশন মশা নিয়ন্ত্রণে যে ব্যবস্থা নিচ্ছে সেটা অকার্যকর। মিডিয়ায় রিপোর্ট এসেছে এই যে ওষুধগুলো দেওয়া হচ্ছে, সে ওষুধগুলোর মধ্যে কার্যকারিতা নেই। তারপরও সে ওষুধগুলো তারা দিচ্ছে। এখানে ২০/২২ কোটি টাকার অর্থনৈতিক সংশ্লিষ্টতা আছে। এগুলো চলেই যাচ্ছে। এগুলো দুর্নীতির মাধ্যমে নেওয়া হচ্ছে। যারা এ কাজগুলো করছে তাদের বিরুদ্ধে সিটি করপোরেশন কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
‘আরেকটা রিপোর্ট এসেছে সিটি করপোরেশন বলছে- নতুন ওষুধ এনে কার্যকরী করতে ৬ মাস লাগবে। আমি বলেছি জনগণের প্রয়োজনে টেন্ডার এবং আইন কানুনের এর বাইরে দ্রুত ওষুধগুলো এনে ব্যবহার করে জনগণের জীবন রক্ষার জন্য পদক্ষেপ নিতে হবে।’
মনজিল মোরসেদ আরও বলেন, এরপর আদালত দু’টি নির্দেশনা দিয়েছেন। এক- এ অকার্যকর ওষুধ যারা এনেছেন, যারা সরবরাহ করেছেন, এর সঙ্গে যারা জড়িত এটি একটি দুর্নীতি। সিটি করপোরেশন এ দুর্নীতি কমিটি গঠন করে তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে। এ নির্দেশনা কার্যকর করে ২০ আগস্টের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতে হবে।
দুই- সিটি করপোরেশন যে চিন্তা করছে ভালো ওষুধ আনবে- সে ব্যাপারে বলেছেন এটা অতিদ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে, সরকারের সহায়তা নিয়ে কার্যকর ওষুধ এনে তা ছিটানোর ব্যবস্থা করতে হবে।