সারাদেশে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) কর্তৃক সুপারিশ প্রাপ্ত ১৩৮ জন আইসিটি সহকারী শিক্ষকদের জন্য ১৩৮টি পদ ৬ মাসের জন্য সংরক্ষণের নির্দেশনা দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এ সংক্রান্ত দুইটি আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ বুধবার (১৭ জুলাই) হাইকোর্টের বিচারপতি এফ.আর.এম নাজমুল আহসান এবং বিচারপতি কে.এম. কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত দ্বৈত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া এবং তাকে সহযোগিতা করেন আইনজীবী মোঃ মনিরুল ইসলাম রাহুল ও আইনজীবী মোঃ সোহরাওয়ার্দী সাদ্দাম। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এ্যাটর্নী জেনারেল মোঃ আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।
আদেশের বিষয়টি আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকমকে নিশ্চিত করে বলেন, সারা দেশের বিভিন্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১৩৮ জন শিক্ষক তাদের এনটিআরসিএ কর্তৃক প্রাপ্ত নিয়োগের সুপারিশের আলোকে যোগদান পত্র গ্রহণ করার জন্য নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে ইতিপূর্বে পৃথক দুইটি রিট পিটিশন দায়ের করেন। ওই দুই আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত ১৭ এবং ২৬ ফেব্রুয়ারি উক্ত শিক্ষকদের যোগদানপত্র কেন গ্রহণ করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। এরপর উক্ত রিট আবেদন দুটি শুনানীর জন্য অপেক্ষমান থাকায় এই ১৩৮টি আইসিটি শিক্ষকদের পদ সংরক্ষণের জন্য পৃথক দুইটি আবেদন করেন। পরে হইকোর্ট তা গ্রহণ করেন এবং উক্ত ১৩৮টি পদ ৬ মাসের জন্য সংরক্ষনের নির্দেশনা প্রদান করেন।
অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া আরও বলেন, এই আদেশের ফলে ১৩৮টি পদ সংরক্ষিত থাকবে। উক্ত পদগুলোতে আর কাউকে নিয়োগ প্রদানের সুযোগ থাকল না। রিট পিটিশন দুইটির চূড়ান্ত শুনানীর মাধ্যমে বিষয়টি নিষ্পত্তি হবে। তবে এই ১৩৮টি পদ ব্যতীত সারাদেশে আইসিটি সহকারী শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ দিতে আইনগত কোন বাধা নেই।