স্বল্প ও পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরের সরকারি অনুদানের তালিকা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবেনা, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে নীতিমালা অনুযায়ী ওই অনুদানের নতুন তালিকা করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবেনা, রুলে তাও জানতে চেয়েছেন আদালত।
চারজন চলচ্চিত্র নির্মাতার করা এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে আজ বুধবার (৩১ জুলাই) এ রুল জারি করেন বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী হাসনাত কাইয়ুম। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার এ বি এম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।
পরে আইনজীবী হাসনাত কাইয়ুম জানান, উন্নতমানের পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণে সরকারি অনুদান প্রদান নীতিমালা-২০১২ (সংশোধিত) এবং স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণে সরকারি অনুদান প্রদান নীতিমালা-২০১২ (সংশোধিত) লঙ্ঘন করে তিন দফায় ১৪টি চলচ্চিত্রে অনুদানের সিদ্ধান্ত কেন আইনগত কর্তৃত্ব বর্হিভূত হবে না, এবং ওই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে নির্দেশ দেওয়া হবে তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
চার সপ্তাহের মধ্যে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ও উপসচিব, পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র অনুদান কমিটির সদস্য সচিব ও স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র অনুদান কমিটির সদস্য সচিবকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
গত ৯ এপ্রিল এক প্রজ্ঞাপনে তথ্য মন্ত্রণালয় স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণে পাঁচটি চলচ্চিত্রকে সরকারি অনুদানের সিদ্ধান্ত দেন। ২৪ এপ্রিল পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নিমার্ণে ৮টি চলচ্চিত্রে সরকারি অনুদানের সিদ্ধান্ত দেন। পরে ৯ মে একটি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রেও অনুদানের সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, উন্নতমানের পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণে সরকারি অনুদান প্রদান নীতিমালা-২০১২ (সংশোধিত) এবং স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণে সরকারি অনুদান প্রদান নীতিমালা-২০১২ (সংশোধিত) লঙ্ঘন করে এসব চলচ্চিত্রকে অনুদান দেওয়া হয়েছে। এ কারণে কে এম হালিমুজ্জামান, ড. মো. জাহাঙ্গীর হোসাইন, অদ্রি হ্রদেশ ও সুপিন বর্মণ গত ১৬ জুলাই জনস্বার্থে হাইকোর্টে এই রিট করেন। শুনানি শেষে আজ আদালত রুল জারি করেছেন।