নাগরিক সেবা পাওয়ার জন্য আজ আমাদের কেন প্রেস ক্লাবে মানববন্ধন করতে হয়? আওয়াজ ও দাবি তুলতে হয়? প্রতিবাদ করতে হয়? সোস্যাল মিডিয়ায় কেন ঘৃণা ছড়াতে হয়? অন্যান্য দেশের সিটি কর্পোরেশনেও কি একই রকম? নাকি ভিন্ন? এসব প্রশ্নের উত্তর সহজে খুঁজে পাওয়া যায়না। বিষয়টি নিয়ে লিখেছেন অ্যাডভোকেট মনিরুল ইসলাম রাহুল
ডেঙ্গু এখন আতঙ্কের নাম। কারণ প্রতিদিন ১০০ উপর রোগী হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। এই রোগের লক্ষণ নিয়ে বিপাকে ডাক্তারগন। যেকোনো কারণেই হোক, এবার মশা নিধন বা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি সফলতার মুখ দেখেনি। ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশা নিধনে ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের গাফিলতি ও অবহেলা এখন দিবালোকের মতো স্পষ্ট। মশা নিধনে রাজধানীতে যে ওষুধ ছিটানো হচ্ছে, তা যে কার্যকর নয়, সে ব্যাপারে এক বছর আগেই গবেষণা প্রতিবেদন দিয়েছিল আইসিডিডিআরবি। চলতি মৌসুমে ডেঙ্গু বিস্তারের বিষয়ে তিন মাস আগেই স্বাস্থ্য অধিদফতরের পক্ষ থেকে দেয়া হয়েছিল আগাম সতর্কবার্তা। এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ডেঙ্গুর ভয়াবহতার সতর্কবার্তা দিয়েছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। বলাবাহুল্য, এসব সতর্কবার্তার সবই গেছে বিফলে। পূর্বাভাস আমলে না নেয়া হলে যে আশঙ্কার কথা বলা হয়েছিল, সেটাই বাস্তব রূপ পেয়েছে। ডেগু, চিকুনগুনিয়াসহ মশাবাহিত রোগ প্রাদুর্ভাব বন্ধ এবং এডিস মশা নির্মুলে দুই সিটি কর্পোরেশনের নিষ্ক্রিয়তা কেন আইনবহির্ভূত হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন মহামান্য হাইকোর্ট। কিন্তু সিটি কর্পোরেশন কেন আইন অনুসারে তাদের দায়িত্ব-কর্তব্য পালন করছে না। কেন তারা ব্যর্থ? আসুন জেনে নেই সিটি কর্পোরেশন আইনগত ভাবে “স্বাস্থ্য সেবা সম্পর্কিত” কি কি সেবা দিতে বাধ্য। স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) আইন, ২০০৯ সংসদ কর্তৃক প্রণীত। যদি সংসদ কৃর্তক কোন আইন পাস হয়, উক্ত আইনের বিধান বাস্তবায়ন করা বাধ্যতামূলক।
উক্ত আইনের ষষ্ঠ অধ্যয়ের ৪১ ধারায় কর্পোরেশনের কার্যাবলী ও দায়িত্ব সম্পর্কে বলা হয়েছে। কর্পোরেশনের অনেকগুলো দায়িত্ব ও কার্যাবলীর মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ কার্য হচ্ছে কর্পোরেশনের তহবিলের সঙ্গতি অনুযায়ী তৃতীয় তফসিলে বর্ণিত দায়িত্ব ও কার্যাবলী সম্পাদন করবে এবং অন্যটি হচ্ছে মেয়র স্থায়ী কমিটির সভাপতি, এবং কাউন্সিলরগণ এই আইনের বিধান অনুযায়ী জনস্বার্থে, কর্পোরেশনের কার্য পরিচালনা করিবেন এবং কর্পোরেশনের নিকট যৌথভাবে দায়ী থাকিবেন। অর্থ্যাৎ তৃতীয় তফসিলে বর্ণিত সকল দায়িত্ব ও কার্যাবলী সম্পাদন করিবেন এবং মেয়র ও কাউন্সিলরগণ কর্পোরেশনের নিকট যৌথভাবে দায়ী থাকবেন। এখানে জবাদিহিতার বিষয়টি একবারে স্পষ্ট। আসুন স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) আইন, ২০০৯ এর তৃতীয় তফসিলে বর্ণিত স্বাস্থ্য সেবা সম্পর্কিত কার্যাবলী জেনে নেই।
জনস্বাস্থ্য: জনস্বাস্থ্য কে প্রথমে গুরত্ব দেওয়া হয়েছে। কর্পোরেশন নগরীর স্বাস্থ্য ব্যবস্থার জন্য দায়ী থাকিবে এবং এই আইন বা ইহার অধীনে এতদৃসম্পর্কে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করিবার থাকিলে, উহা সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করিবে।
অস্বাস্থ্যকর ইমারতসমূহ: কোন ইমারত বা জায়গা অস্বাস্থ্যকর বা ক্ষতিকর অবস্থায় থাকিলে কর্পোরেশন নোটিশ দ্বারা উহার মালিক বা দখলদারকে উহা পরিস্কার করিতে বা যথাযথ অবস্থায় রাখিতে, উহা স্বাস্থ্যকর অবস্থায় রাখিতে, উক্ত ইমারতের চুনকাম করিতে এবং নোটিশে উল্লেখিতরূপে ইহার অপরিহার্য মেরামতের ব্যবস্থা করিতে এবং উক্ত ইমারত বা জায়গা, স্বাস্থ্যকর অবস্থায় রাখার জন্য অন্যান্য পদক্ষেপ গ্রহণ করিতে নির্দেশ দিতে পারিবে প্রদত্ত নোটিশে উল্লিখিত মেয়াদের মধ্যে নোটিশের নির্দেশ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় কার্য সম্পন্ন করা না হইলে, কর্পোরেশন উক্ত ইমারত বা মালিক দখলদারের খরচে প্রয়োজনীয় কার্য সম্পন্ন করিতে পারিবে, এবং ইহাতে কর্পোরেশনের যে খরচ হইবে, তাহা এই আইনের অধীনে উক্ত মালিক বা দখলদারের উপর অরোপিত কর হিসাবে গণ্য হইবে।
আবর্জনা অপসারণ, সংগ্রহ এবং উহার ব্যবস্থাপনা: কর্পোরেশন উহার নিয়ন্ত্রণাধীন সকল জনপথ, সাধারণ পায়খানা, প্রস্রাবখানা, নর্দমা, ইমারত ও জায়গা হইতে আবর্জনা সংগ্রহ ও অপসারণ করিবার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করিবে। কর্পোরেশনের সাধারণ নিয়ন্ত্রণ এবং তত্ত্বাবধানে, কর্পোরেশন এলাকায় অবস্থিত সকল ইমারতও জায়গা দখলদারগণ উহা হইতে আবর্জনা অপসারণের জন্য দায়ী থাকিবে। কর্পোরেশন নগরীর বিভিন্ন স্থানে ময়লা ফেলিবার পাত্র বা অন্যবিধ আধারের ব্যবস্থা করিবে এবং যেখানে অনুরূপ ময়লা ফেলার পাত্র বা আধারের ব্যবস্থা করা কর্পোরশেন সাধারণ নোটিশ দ্বারা পার্শ্ববর্তী বাড়ী ঘর ও জায়গা-জমির দখলদারগণকে তাহাদের ময়লা বা আবর্জনা উক্ত পাত্র বা আধারে ফেলিবার জন্য নির্দেশ দান করিতে পারিবে। কর্পোরেশনের কর্মচারীগণ কর্তৃক অথবা তাহাদের তত্ত্বাবধানে অপসারিত বা সংগৃহীত আবর্জনা বা ময়লা এবং সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক স্থাপিত পাত্র বা আধারে জমাকৃত ময়লা বা আবর্জনা কর্পোরেশনের সম্পত্তি বলিয়া গণ্য হবে।
পায়খানা ও প্রস্রাবখানা: কর্পোরেশন পুরুষ ও মহিলাদের জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক পৃথক পৃথক পায়খানা এবং প্রস্রাবখানার ব্যবস্থা করিবে এবং তা যথাযথভাবে রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখিবার ব্যবস্থা করিবে। যে সকল ঘরবাড়িতে পায়খানা বা প্রস্রাবখানা আছে সে সকল ঘরবাড়ীর মালিক তাহা কর্পোরেশনের সন্তুষ্টি অনুযায়ী সঠিক অবস্থায় রাখিবে। কোন ঘরবাড়ীতে পায়খানা বা প্রস্রাবখানার ব্যবস্থা না থাকিলে বা পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকিলে, কিংবা কোন আপত্তিকর স্থানে পায়খানা ও প্রস্রাবখানার ব্যবস্থা থাকিলে, কর্পোরেশন উক্ত ঘরবাড়ী বাসস্থানের মালিককে নোটিশ দ্বারা⎯নোটিশে উল্লিখিতরূপে পায়খানা ও প্রস্রাবখানার ব্যবস্থা করা, নোটিশে উল্লিখিতরূপে পায়খানা ও প্রস্রাবখানা পরিবর্তন সাধন করা, নোটিশে উল্লিখিতরূপে পায়খানা ও প্রস্রাবখানা অপসারণ করা, এবং যেখানে ভূগর্ভস্থ কোন পয়ঃপ্রণালীর ব্যবস্থা আছে সেখানে সাধারণভাবে পরিষ্কারযোগ্য পায়খানা বা প্রস্রাবখানাকে পয়ঃপ্রণালীর সহিত সংযুক্ত করিবার নির্দেশ দিতে পারিবে।
সংক্রামক ব্যাধি: নগরীতে সংক্রামক ব্যাধি প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা গ্রহণ করিবে। কর্পোরেশন সংক্রামক ব্যাধিতে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা ও রক্ষণাবেক্ষণ করিবে। কর্পোরেশন সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণকল্পে প্রকল্প প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করিতে পারিবে।
স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও মাতৃসদন ইত্যাদি কর্পোরেশন প্রয়োজন অনুসারে⎯স্বাস্থ্য কেন্দ্র, মাতৃসদন এবং মহিলা, শিশু ও বালক-বালিকাদের জন্য কল্যাণ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা, পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ করিবে এবং অনুরূপ কোন স্বাস্থ্য কেন্দ্র, মাতৃসদন বা কল্যাণ কেন্দ্রে চাঁদা প্রদান করিতে পারিবে, ধাত্রী প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করিতে পারিবে, পরিবার পরিকল্পনা উন্নয়নের ব্যবস্থা করিতে পারিবে, এবং মহিলা, শিশু এবং বালক-বালিকাদের স্বাস্থ্যের উন্নতি এবং কল্যাণের জন্য প্রয়োজনীয় অন্যান্য ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবে।
জনস্বাস্থ্যের উন্নয়ন: কর্পোরেশন স্বাস্থ্যমূলক শিক্ষাসহ জনস্বাস্থ্যের উন্নতির বিধানকল্পে প্রয়োজনীয় অন্য যে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবে।
হাসপাতাল ও ডিসপেনসারী: কর্পোরেশন নগরবাসীর চিকিৎসার সুবিধার জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক হাসপাতাল ও ডিসপেনসারী প্রতিষ্ঠা ও রক্ষণাবেক্ষণ করিতে পারিবে। কর্পোরেশন কর্তৃক পরিচালিত প্রত্যেক হাসপাতাল ও ডিসপেনসারী বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে পরিচালিত হইবে।
চিকিৎসা, সাহায্য এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা ইত্যাদি: কর্পোরেশন প্রয়োজনীয় বিবেচনা করিলে বা সরকার নির্দেশ দিলে, নিম্নবর্ণিত বিষয় সম্পর্কে ব্যবস্থা গ্রহণ করিবে, যথা- প্রাথমিক চিকিৎসা কেন্দ্র স্থাপন ও পরিচালনা, ভ্রাম্যমাণ চিকিৎসা সাহায্য ইউনিট স্থাপন ও পরিচালনা, চিকিৎসা সাহায্য প্রদানকল্পে সমিতি গঠনে উৎসাহদান, চিকিৎসা বিদ্যার উন্নয়ন, চিকিৎসা সাহায্যের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসমূহকে অর্থ প্রদান, এবং স্কুল ছাত্র-ছাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা।
পানি সরবরাহ ও পানি নিষ্কাশন প্রণালী: আপাততঃ বলবৎ অন্য কোন আইন সাপেক্ষে, কর্পোরেশন নগরীতে সাধারণ ও ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণের বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের ব্যবস্থা করিবে। কর্পোরেশন প্রয়োজনীয় বিবেচনা করিলে অথবা সরকার নির্দেশ দিলে পানি সরবরাহ, সঞ্চয় ও বিতরণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে পানি সরবরাহ প্রকল্প প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করিতে পারিবে। যে ক্ষেত্রে নলের সাহায্যে পানি সরবরাহের ব্যবস্থা করা হয়, সেক্ষেত্রে কর্পোরেশনের প্রবিধান অনুযায়ী সরকারি ও বেসরকারি ঘরবাড়িতে পানি সরবরাহের ব্যবস্থা করিতে পারিবে এবং তজ্জন্য অর্থ আদায় করিতে পারিবে। পানি সরবরাহের ব্যক্তিগত উৎস নগরীর অভ্যন্তরে সকল বেসরকারি পানি সরবরাহের উৎস কর্পোরেশনের নিয়ন্ত্রণ ও পরিদর্শনাধীন থাকিবে। কর্পোরেশনের অনুমোদন ব্যতীত পানীয় জলের জন্য কোন নতুন কূপ খনন, নলকূপ স্থাপন অথবা পানি সরবরাহের জন্য অন্য কোন উৎসের ব্যবস্থা করা যাইবে না। পানীয় জলের জন্য ব্যবহৃত কোন বেসরকারি পানি সরবরাহের উৎসের মালিক বা নিয়ন্ত্রণকারীকে কর্পোরেশন নোটিশ দ্বারা⎯ উহাকে যথাযথ অবস্থায় রাখিবার এবং সময় সময় ইহার পলি, আবর্জনা ও পঁচনশীল দ্রব্যাদি অপসারণ করিবার, উহাকে কর্পোরেশন কর্তৃক নির্দেশিত রোগ সংক্রমণ হইতে রক্ষা করিবার, উহার পানি পানের অনুপযুক্ত বলিয়া কর্পোরেশন সাব্যস্ত করিলে, উহার পানি পানের উদ্দেশ্যে ব্যবহার করিবার জন্য উক্ত নোটিশে উল্লিখিত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিতে পারিবে।
পানি নিষ্কাশন: আপাততঃ বলবৎ অন্য কোন আইন সাপেক্ষে কর্পোরেশন নগরীতে পানি নিষ্কাশনের জন্য পর্যাপ্ত পানি নিষ্কাশন নর্দমার ব্যবস্থা করিবে এবং জনসাধারণের স্বাস্থ্য ও সুবিধার প্রতি লক্ষ্য রাখিয়া নর্দমাগুলি নির্মাণ, রক্ষণাবেক্ষণ ও সংরক্ষণ করিবে এবং পরিষ্কার রাখিবে। কর্পোরেশনের পূর্বানুমোদনক্রমে তৎকর্তৃক নির্ধারিত শর্তে এবং ফিস প্রদানে কোন বাড়ী বা জায়গার মালিক উহার নর্দমা কর্পোরেশনের নর্দমার সহিত সংযুক্ত করিতে পারিবে। নগরীতে অবস্থিত সকল বেসরকারি নর্দমা কর্পোরেশনের নিয়ন্ত্রণ ও পরিদর্শনাধীনে থাকিবে এবং কর্পোরেশন প্রবিধান অনুযায়ী উহার সংস্কার করিবার, পরিষ্কার করিবার এবং বন্ধ রাখিবার নির্দেশ দিতে পারিবে।
পানি নিষ্কাশন প্রকল্প: কর্পোরেশন প্রয়োজনীয় বিবেচনা করিলে বা সরকার নির্দেশ দিলে, নির্ধারিত পদ্ধতিতে সুষ্ঠুভাবে পানি বা ময়লা নিষ্কাশনের জন্য সরকারি বা বেসরকারি খরচে নর্দমা নির্মাণ বা অন্যান্য পূর্ত কাজের জন্য পানি নিষ্কাশন প্রকল্প প্রণয়ন করিতে পারিবে। নগরীতে অবস্থিত কোন বাড়ীঘর বা জায়গার মালিককে কর্পোরেশন নোটিশ দ্বারা⎯ উক্ত বাড়ীঘর বা জায়গায় বা তৎসংলগ্ন রাস্তায় নোটিশে উল্লিখিত নর্দমা নির্মাণ করিবার, অনুরূপ যে কোন নর্দমা অপসারণ, সংস্কার বা উহার উন্নয়ন করিবার, এবং উক্ত বাড়ীঘর বা জায়গা হইতে সুষ্ঠুভাবে পানি নিষ্কাশনের জন্য অন্য কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করিবার নির্দেশ দিতে পারিবে।
স্নান ও ধৌত করার স্থান: কর্পোরেশন সময় সময় জনসাধারণের স্নান করা, কাপড় ধৌত করা বা কাপড় শুকাইবার জন্য উপযুক্ত স্থান নির্দিষ্ট করিয়া দিবে, অনুরূপ স্থানসমূহ কখন ব্যবহার করা হইবে এবং কাহারা ব্যবহার করিবে তাহাও নির্দিষ্ট করিয়া দিবে, প্রকাশ্য নোটিশ দ্বারা উক্তরূপ নির্দিষ্ট নয় এইরূপ কোন জায়গাকে উপরিউক্ত উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা নিষিদ্ধ করিয়া দিতে পারিবে।
২০০৯ সালের স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) আইনে স্বাস্থ্য সেবা সম্পর্কিত অনেক গুলো ব্যবস্থা গ্রহনের বিধান থাকলেও, উক্ত বিধানগুলো যথাযথ ভাবে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে না। শুধু আইন করলেই হবে না আইনের বাস্তবায়ন অনেক জরুরী। নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে নাগরিকরা। নাগরিক সেবা পাওয়া নাগরিকদের আইনগত অধিকার। সরকারের কঠোর পদক্ষেপ, আইনের প্রয়োগ, সিটি কর্পোরেশনর দায় ও জবাবদিহিসহ নাগরিকদের মধ্যে আরো বেশি সতর্কতা ও ইতিবাচক মনোভাব সৃষ্টি করা গেলে পরিবেশ বান্ধব বসবাস নিশ্বিত করা সম্ভব।
লেখক: আইনজীবী, ঢাকা জজ কোর্ট।