চট্টগ্রামের জঙ্গি সংগঠন ‘শহীদ হামজা ব্রিগেড’কে অর্থায়নের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার শাকিলা ফারজানাসহ ৬১ আসামির বিরুদ্ধে বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
চট্টগ্রামের সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আবদুল হালিম মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) এই আদেশ দেন। অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে এই মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার কাজ শুরু হয়েছে।
একইসঙ্গে অভিযোগ গঠনের সময় আদালতে উপস্থিত না থাকায় শাকিলা ফারজানাসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
আইনজীবী শাকিলা ফারজানা বিএনপির সাবেক হুইপ প্রয়াত সৈয়দ ওয়াহিদুল আলমের মেয়ে ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের যুগ্ম সম্পাদক। একাদশ সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী) থেকে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছিলেন তিনি। যদিও পরে আসনটি ২০ দলীয় জোটের শরীক কল্যাণ পার্টিকে ছেড়ে দেয়া হয়।
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি হাটহাজারীর মাদরাসাতুল আবু বকর (র.)-এ অভিযান চালিয়ে ১২ জনকে গ্রেফতার করে র্যাব। পরদিন র্যাব-৭-এর সহকারী পরিচালক মাহফুজুর রহমান বাদী হয়ে হাটহাজারী থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করেন। এর দুদিন পর বাঁশখালীর লটমণি পাহাড়ে ‘জঙ্গি প্রশিক্ষণকেন্দ্র’ থেকে বিপুল অস্ত্রসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। পরে জানানো হয় গ্রেফতারকৃতরা চট্টগ্রামভিত্তিক নতুন জঙ্গি সংগঠন শহীদ হামজা ব্রিগেডের সদস্য।
ওই বছরের ১৮ আগস্ট হামজা ব্রিগেডকে অর্থায়নের অভিযোগে রাজধানী থেকে গ্রেফতার করা হয় শাকিলা ফারজানাসহ তিন আইনজীবীকে। তদন্ত শেষে ২০১৬ সালের মার্চে দুই মামলায় শাকিলাসহ ৬১ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দেয় র্যাব।
অতিরিক্ত মহানগর পিপি মনোরঞ্জন দাস গণমাধ্যমকে বলেন, জঙ্গি সংগঠন ‘শহীদ হামজা ব্রিগেড’কে অর্থায়নের ঘটনায় দায়ের হাটহাজারীর মামলায় ৩৩ জন এবং বাঁশখালীর মামলায় ২৮ জনসহ ৬১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ দিয়েছেন আদালত। ৮ সেপ্টেম্বর থেকে সাক্ষ্যগ্রহণের সময়ও নির্ধারণ করা হয়েছে। আদালতে অনুপস্থিত থাকা ৯ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হওয়া ৯ আসামির মধ্যে ৭ জন এজাহারভুক্ত আসামি শুরু থেকেই পলাতক। শাকিলা ফারজানা ও নাছির হোসেন অভিযোগ গঠনের শুনানিতে হাজির ছিলেন না। তাই তাদের বিরুদ্ধেও আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন।