স্বামীর অতিরিক্তি ভালোবাসায় ‘অতিষ্ঠ’ হয়ে তালাকের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) এক নারী। বাড়ির কাজে স্বামীর সহযোগিতা এবং উপহারের বন্যায় ভেসে যাওয়া ওই নারী তালাকের জন্য আদালতের শরণাপন্ন হয়েছেন।
দেশটির ফুজাইরার একটি শরীয়া আদালতে ওই নারী অভিযোগ করেছেন, তার স্বামী কখনো তার সঙ্গে তর্ক-বিতর্ক করেন না এবং তিনি সবসময় সদয় থাকেন। স্বামীর এত ভালোবাসা পাওয়ার পরও ‘রূঢ় আচরণ ছাড়া’ তার জীবন ‘নরকে’ পরিণত হয়েছে।
ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম ডেইলি মেইল তাদের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
আদালতে ওই নারী অভিযোগ করেছেন, তার প্রতি স্বামীর ভালোবাসা এবং সহানুভূতি সর্বোচ্চ পর্যায়ের। তিনি এ থেকে মুক্তি চান। এজন্য তিনি আদালতে আবেদন করেছেন।
তিনি বলেন, স্বামীর অতিরিক্ত ভালোবাসা এবং সহানুভূতিতে আমার দম বন্ধ হয়ে যাওয়ার মতো অবস্থা। এমনকি তিনি আমার অনুমতি ছাড়াই বাড়ি পরিষ্কারের কাজ করেন।
এই নারী জানান, বিয়ের এতদিনেও তারা কখনো তর্কে জড়াননি, এমনকি তার স্বামী কখনো তার সঙ্গে উচ্চস্বরে কথাও বলেননি। তিনি যখন স্বামীর ওজন বেড়ে যাওয়া নিয়ে কথা বলতেন তখন স্বামী কঠোর ডায়েট এবং শরীর চর্চা শুরু করতেন। তা করতে গিয়ে তিনি একবার পা ভেঙে ফেলেন।
তিনি আরও বলেন, আমি ঝগড়ার একটি দিনের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি। কিন্তু আমার রোমন্টিক স্বামী যিনি আমাকে সবসময় ক্ষমা করে দেন এবং ভালোবাসার উপহারে ভরিয়ে রাখেন, তার সঙ্গে ঝগড়া সম্ভব বলে মনে হচ্ছে না।