বিয়ের কাবিননামার ৫ নম্বর কলামে উল্লিখিত ‘কুমারী’ শব্দ বাদ দিয়ে ‘অবিবাহিত’ শব্দ যোগ করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি ছেলেদের ক্ষেত্রে তারা বিবাহিত, অবিবাহিত বা তালাকপ্রাপ্ত কিনা তা কাবিননামার ৪ (ক) ধারায় সংযুক্ত করারও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
এ সংক্রান্ত এক রিট আবেদনের ওপর শুনানি শেষে রোববার (২৫ আগস্ট) বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি খিজির আহমেদ চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেডআই খান পান্না, আইনুন্নাহার লিপি ও ইশরাত হাসান।
বিয়ের কাবিননামায় মেয়ে কুমারী, বিধবা ও তালাকপ্রাপ্ত সংক্রান্ত পাঁচ নম্বর কলামের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট, নারীপক্ষ ও বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ ২০১৪ সালের ৭ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টে রিট করে। ওই রিটের শুনানি নিয়ে ২০১৪ সালে কাবিননামায় (বাংলাদেশ ফর্ম নম্বর-১৬০০ ও ১৬০১) ৫ নম্বর কলাম কেন বৈষম্যমূলক ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে কেন ‘কুমারী’ শব্দটি বিলোপ করে কাবিননামা সংশোধন করা এবং বরের বৈবাহিক অবস্থা সম্পর্কিত কোনও ক্রমিক কাবিননামায় উল্লেখ করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়।
ওই রুলের শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী বেলায়েত হোসেন বলেন, কাবিননামার ৫ নম্বর কলামে এটা থাকা উচিত না। কারণ, এটি ব্যক্তির মর্যাদা ও গোপনীয়তাকে ক্ষুণ্ণ করে, যা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এছাড়া ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী এগুলো থাকা বাধ্যতামূলক নয়। মুসলিম শরিয়ায় এ ধরনের শর্ত নেই।