বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদত বার্ষিকীর এক আলোচনায় বিচারালয়কে দুর্নীতিমুক্ত দেখার প্রত্যাশা করেছেন আইনজীবীরা। সম্প্রতি তিন বিচারপতিকে বিচারকাজ থেকে বিরত রাখার উদ্যোগ নেওয়ায় প্রধান বিচারপতির প্রশংসাও করেছেন তাঁরা।
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি উদ্যোগে বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) সমিতির শহীদ শফিউর রহমান মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা সভায় এ প্রত্যাশা করেন আইনজীবীরা। আলোচনা সভায় প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনসহ আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগের অধিকাংশ বিচারপতি উপস্থিত ছিলেন।
বঙ্গবন্ধু আইনজীবী পরিষদের সদস্যসচিব ও সাংসদ ফজলে নূর তাপস তাঁর বক্তৃতায় বলেন, ‘আমরা চাই হাইকোর্ট বা আপিল বিভাগে কেউ যাতে দুর্নীতি করতে না পারেন। দুর্নীতিমুক্ত বিচারাঙ্গন চেয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা প্রধান বিচারপতির পাশে আছি। ফজলে নূর তাপসের বক্তব্যের সমর্থন করেন অধিকাংশ বক্তা।
অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচার চাইতে গিয়ে এক সময় বিচারালয়ে অনেক দৌড়ঝাঁপ করতে হয়েছে। আলোচনা সভায় বিচারপতিদের উপস্থিতির কথা তুলে ধরে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, আজ বিচার বিভাগে নবজাগরণ তৈরি হয়েছে। তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু কোনো দলের বা গোষ্ঠীর না। তিনি জাতির জনক। তাঁকে সবকিছুর ঊর্ধ্বে রাখতে হবে।
আপিল বিভাগের বিচারপতি নুরুজ্জামান বলেন, মানুষ ন্যায়বিচার না পেলে স্বাধীনতার কোনো মূল্য থাকে না। সে কারণে বিচারালয়কে সঠিক ভূমিকায় থাকতে হবে।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধুর অপরিসীম আত্মত্যাগের ফলে হয়েছে স্বাধীন বাংলাদেশ। তাঁর সাহসী ও দূরদর্শী নেতৃত্বে জাতি অর্জন করেছে স্বাধীনতা। তিনি বলেন, ঘাতকেরা বঙ্গবন্ধুকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। তারা ভেবেছিল বঙ্গবন্ধু না থাকলে বাংলাদেশ থাকবে না। কিন্তু আদর্শের মৃত্যু নেই।
আইনজীবীদের গুরুত্বপূর্ণ পেশাজীবী, ‘সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ার’ ও বিচারকদের ন্যায় বিচারের মূর্ত প্রতীক উল্লেখ করে প্রধান বিচারপতি বলেন, ন্যায় বিচারের ক্ষেত্রে আইনজীবী ও বিচারকদের ভূমিকা অনস্বীকার্য।
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি এম আমিন উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন, আইনজীবী এম আমীর উল ইসলাম, এ এফ মেজবাহ উদ্দিন, বিচারপতি মো. নুরুজ্জামান, বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলী, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, সাবেক মন্ত্রী কামরুল ইসলাম প্রমুখ।