মোহাম্মদ আরিফ উদ্দীন চৌধুরী:
সম্প্রতি আইনজীবীদের সর্বোচ্চ অভিভাবক, নিয়ন্ত্রণ ও সুরক্ষা সংস্থা বাংলাদেশ বার কাউন্সিল একটি মিটিংয়ের বরাত দিয়ে নোটিশ মারফত প্রকাশ করেন যে, “বার কাউন্সিলের পরবর্তী এনরোলমেন্ট এম.সি.কিউ ফরম ফিলাপের কার্যক্রম আগামী ২২/০৯/২০১৯ ইংরোজি তারিখ পর্যন্ত চলবে। যাহাদের পিউপিলেজ সময় ০৬ মাস পূর্ণ হইয়াছে এবং বার কাউন্সিল রেজিস্ট্রেশন কার্ড প্রাপ্ত হইয়াছে তাহারা পরীক্ষার নির্ধারিত ফি ও অন্যান্য কাগজপত্রসহ ফরম জমা দিতে পারিবে”।
দীঘদিন ধরে অপেক্ষায় থাকা পরীক্ষার্থীদের জন্য নিঃসন্দেহে এটি একটি সুসংবাদ। তবে মাঠপর্যায়ে এখনো দুটি বিষয় অস্পষ্ট রয়ে গেছে। প্রথম বিষয় হলো, যাহাদের পিউপিলেজ সময় ০৬ মাস পূর্ণ হইয়াছে এবং কিন্তু কোন আইনগত/বিশ্ববিদ্যালয়ের ত্রুটির কারণে বার কাউন্সিল কর্তৃক রেজিস্ট্রেশন কার্ড ইস্যু হয়নি তাদের কি হবে? দ্বিতীয় বিষয় হলো, যারা ইতিপূর্বে বার কাউন্সিল অ্যাডভোকেটশীপ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে লিখিত পরীক্ষায় ফেইল করেছে তাদের পুনরায় এমসিকিউ পরীক্ষা দিতে হবে কিনা?
“লিখিত পরীক্ষায় উর্ত্তীর্ণ হয়নি এমন পরীক্ষার্থীদের লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করলে চলবে” এ ধরণের একটি খবর প্রচার হলেও বার কাউন্সিল নোটিশ বোর্ড তালাশ করে এমন কোন নোটিশ পাওয়া যায়নি। এছাড়াও বার কাউন্সিলের কয়েকজন অফিস কর্মকর্তার সাথে কথা বললেও এ বিষয়ে তারা পরিষ্কার কোন ধারণা দিতে পারেন নি।
“যারা ইতিপূর্বে লিখিত পরীক্ষায় উর্ত্তীর্ণ হয়নি, তারা লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে।” এ খবরের সত্যতা কতটুকু এবং আদৌ বার কাউন্সিল এ ব্যাপারে কোন সিদ্ধান্ত নেবে কিনা?
উপরোক্ত দুটো বিষয় নিয়ে সাধারণ পরীক্ষার্থীদের মধ্যে অজানা আশংকা ও ভীতি কাজ করছে।
একদল যাদের রেজিস্ট্রেশন কার্ড এখনো ইস্যু হয়নি, তারা আদৌও আগামী অ্যাডভোকেটশীপ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে কিনা! তা নিয়ে দুশ্চন্তিায় আছে এবং বিভিন্ন আফিস আদালতে দৌড়াঝাপ করছে। আরেকদল, যারা গতবারের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে লিখিত পরীক্ষায় ফেইল করেছে, তাদের পুনরায় এম.সি.কিউ পরীক্ষা দিতে হবে কিনা! তারা পুনরায় এম.সি.কিউ পরীক্ষার প্রস্তুতি নেবে! নাকি লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতি নেবে, তা নিয়ে বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতির মধ্যে দিনাতিপাত করছে।
বাংলাদেশ বার কাউন্সিল আইনজীবী এবং শিক্ষানবীশদের সর্বোচ্চ আভিভাবক। বর্তমানে সৃষ্ট উদ্ভুত পরিস্থিতি এবং মাঠ পর্যায়ে বিদ্যমান উপরোক্ত দুটো তর্কিত বিষয়ের উপরে বার কাউন্সিলের সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা শিক্ষানবিশ আইনজীবীদের মধ্যে বিরাজমান অস্থিরতা কমাবে এবং তারা ভালভাবে আসন্ন পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিতে পারবে বলে বিশ্বাস করি।
উপরোক্ত দুটো বিষয়ে সুনির্দিষ্ট দিক নির্দেশনা এবং তড়িৎ কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য বাংলাদেশ বার কাউন্সিল (এনরোলমেন্ট কমিটিসহ) এর সম্মানিত নেতৃবৃন্দের প্রতি বিশেষ অনুরোধ রইলো। অনুষ্ঠিতব্য অ্যাডভোকেটশীপ পরীক্ষা-২০১৯ এ অংশগ্রহনেচ্ছু সকল পরিক্ষার্থীদের জন্য ভালবাসা ও শুভকামনা রইলো।
লেখক : অ্যাডভোকেট, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট।