অ্যাডভোকেট জাহিদুল ইসলাম:
বার কাউন্সিল পরীক্ষার সিলেবাসে থাকা আইনগুলোর মধ্যে সাক্ষ্য আইন সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ আইন। গুরুত্বপূর্ণ একারনে যে, সিলেবাসে থাকা অন্যান্য আইনগুলোর মধ্যে তুলনামূলক কম ব্যাপ্তি বা ছোট হওয়ার পরেও সাক্ষ্য আইন থেকে ১৫ নম্বরের প্রশ্ন এসে থাকে।
লেখাটিতে মূলত আমি চেষ্টা করেছি সাক্ষ্য আইনের ১ থেকে ১৬৭ ধারা অর্থাৎ সমস্ত আইনটির নির্যাস বা মূলকথাকে একটি লেখায় সংক্ষিপ্ত আকারে উপস্থাপন করতে, প্রয়োজনমতো কিছু ধারাকে একটু ব্যাখ্যা করতে। লেখাটিতে প্রকৃতপক্ষে সাক্ষ্য আইনের মোট ধারা সমূহকে যে কয়টি খন্ড ও অধ্যায়ে বিভক্ত করা হয়েছে সেগুলোর তালিকা ও আইনটির আলোচ্য বিষয়বস্তুগুলো কোনটি কোন ধারা পর্যন্ত বিস্তৃত তা বিভক্ত করে উল্লেখ করা হয়েছে। যাতেকরে শিক্ষার্থীরা ধারা ও ধারার বিষয়বস্তুগুলো একটু সহজে মেমোরাইজ করতে পারেন ও পুরো সাক্ষ্য আইন বিষয়ে একটা মৌলিক ধারণা পেতে পারেন।
লেখাটিতে বিগত বার ও বিজেএস পরীক্ষায় যেসব ধারাগুলো থেকে সর্বাধিক প্রশ্ন এসেছে তার ভিত্তিতে গুরুত্বপূর্ণ ধারাগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে। দেখা গেছে যে বিগত বার ও বিজেএস পরীক্ষায় যেসকল ধারা থেকে প্রশ্ন এসেছে তার পরবর্তী পরীক্ষাতেও মোট প্রশ্নের ৩০ থেকে ৫০ ভাগ প্রশ্ন সেসকল ধারা থেকেই করা হয় (হুবহু একই প্রশ্ন বা ভিন্ন আঙ্গিকে একই ধারা থেকে প্রশ্ন)। সুতরাং বলাই বাহুল্য যে, বিগত পরীক্ষাগুলোতে যেসকল ধারা থেকে প্রশ্ন এসেছে সেগুলো সর্বাধিক গুরুত্বের সাথে আমল করতে হবে। লেখাটির শেষ প্রান্তে অতীত পরীক্ষায় যেসব ধারাগুলো থেকে প্রশ্ন এসেছে তার ভিত্তিতে অধিকতর গুরুত্বপূর্ণ ধারাগুলো এবং সাধারণভাবে গুরুত্বপূর্ণ ধারাগুলোর একটি ফটো চার্ট যুক্ত করা হয়েছে। লেখাটি খুবই বড় হওয়াতে একটু সময় ও ধৈর্য্য নিয়ে পড়তে হবে।
এবারে মূল আলোচনায় আসা যাক। মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পর্কিত নিয়মাবলী বিধৃত করা আছে সাক্ষ্য আইনে। আমাদের দেশে অধিক প্রচলিত সাক্ষ্য আইন “সাক্ষ্য আইন ১৮৭২ ” নামে পরিচিত। মোট ১৬৭ টি ধারা সম্বলিত সাক্ষ্য আইনের সমগ্র আলোচনাকে প্রধানত তিনটি খন্ডে ভাগ করা হয়েছে এবং এই ৩ টি খন্ডের অধীনে থাকা সকল বিষয়বস্তুকে ১১ টি অধ্যায়ে ভাগ করা হয়েছে।
🔰১ম খন্ডঃ ধারা ১ থেকে ৫৫ – কি প্রমাণ করতে হবে?
🔰২য় খন্ডঃ ধারা ৫৬ থেকে ১০০ – কি ধরনের সাক্ষ্য দ্বারা প্রমাণ করতে হবে?
🔰৩য় খন্ডঃ ধারা ১০১ থেকে ১৬৭ – কার দ্বারা, কি পদ্ধতিতে প্রমাণ করতে হবে?
বলা চলে এই তিনটি প্রশ্নের উপরেই সাক্ষ্য আইনের সামগ্রিক আলোচনা নির্ভরশীল।
🌎১ম খন্ড – ধারা ১ থেকে ৫৫
প্রথম ও দ্বিতীয় অধ্যায় নিয়ে ১ম খন্ড।
১ম খন্ডের মূল আলোচ্য বিষয় হলো কোন-কোন বিষয়ে সাক্ষ্য দেয়া যায় (বিচার্য বিষয় এবং প্রাসঙ্গিক বিষয়াদি)। অর্থাৎ যে কোন বিষয়ই সাক্ষ্য হিসেবে প্রাসঙ্গিক হতে পারেনা। যেসকল বিষয় সাক্ষ্য হিসেবে প্রাসঙ্গিক প্রধানত তার উল্লেখ রয়েছে প্রথম খন্ডে।
১ম খন্ডের অধিনে থাকা অধায়গুলোর মূল আলোচনা নিম্নরূপ।
🎁প্রথম অধ্যায়ঃ ধারা ১ থেকে ৪
এই অধ্যায়ে রয়েছে শিরোনাম, সঙ্গা, প্রযোজ্যতা এবং অনুমান বিষয়ক আলোচনা। ধার ১ এ শিরোনাম ও প্রযোজ্য ক্ষেত্র, ২ ধারা বাতিল ও ৩ ধারাতে কিছু শব্দের সঙ্গা বা ব্যাখ্যা ও ৪ ধারাতে অনুমান সম্পর্কিত আলোচনা।
🎁দ্বিতীয় অধ্যায়ঃ ধারা ৫ থেকে ৫৫
৫ থেকে ৫৫ ধারা পর্যন্ত রয়েছে প্রাসঙ্গিক বিষয়াদি সম্পর্কিত আলোচনা।
৫ ধারাটিতে উল্লেখ করা হয়েছে সাক্ষ্য অবশ্যই বিচার্য বিষয় ও প্রাসঙ্গিক বিষয়ে সীমাবদ্ধ থাকবে। অর্থাৎ বিচার্য বিষয় এবং প্রাসঙ্গিক বিষয়ের বাইরে কোন বিষয়ে সাক্ষ্য দেয়া যাবেনা। কোন বিষয়গুলো সাক্ষ্য হিসেবে প্রাসঙ্গিক হবে তার ধারাবাহিক বর্ণনা রয়েছে ধারা ৬ থেকে ৫৫ পর্যন্ত।
সাক্ষ্য হিসেবে প্রাসঙ্গিক বিষয়াদিসমূহকে (ধারা ৬ থেকে ৫৫) নিন্মরূপে ভাগ করা যায় । অর্থাৎ বিচার্য বিষয় ছাড়াও আরও যেসকল বিষয়ে সাক্ষ্য দেয়া যায় (প্রাসঙ্গিক বিষয়সমূহ) সেগুলো নিন্মরূপ।
🔰বিচার্য বিষয় এর সাথে সম্পর্কযুক্ত প্রাসঙ্গিক বিষয়াদির বিবরণ – ধারা ৬ থেকে ১৬।
🔰স্বীকৃতি – ধারা ১৭ থেকে ২৩ এবং ৩১।
🔰অপরাধ স্বীকারোক্তি – ধারা ২৪ থেকে ৩০।
🔰যেসকল সাক্ষীকে আদালতে উপস্থিত করা যায়না তাদের বিবৃতি – ধারা ৩২ থেকে ৩৩।
৩২ ধারার মূল কথা হলো ৪ প্রকারের ব্যক্তির (মৃত,নিখোজ,সাক্ষ্য প্রদানে অযোগ্য,যাদের উপস্থিতি সময় ও ব্যয় সাপেক্ষ) ৮ প্রকারের বিবৃতি যা ৩২(১) থেকে ৩২(৮) উপধারায় উল্লেখ রয়েছে, তা তাদের অনুপস্থিতিতেও আদালতে সাক্ষ্য হিসেবে উপস্থাপন করা যায়।
এর মধ্যে ৩২(১) এ রয়েছে মৃত্যুকালীন ঘোষনা বিষয়ক আলোচনা। অর্থাৎ অত্র আইনের ৬০ ধারাতে উল্লেখ রয়েছে যে মৌখিক সাক্ষ্য অবশ্যই প্রত্যক্ষ্য হবে, ৩২ ও ৩৩ ধারা হলো তার ব্যাতিক্রম।
🔰বিশেষ পরিস্থিতিতে দেয়া বিবৃতি – ধারা ৩৪ থেকে ৩৮।
🔰 বিবৃতির কতটু অংশ প্রমান করতে হবে – ধারা ৩৯।
🔰অন্য মামলার রায় – ধারা ৪০ থেকে ৪৪।
🔰তৃতীয় ব্যাক্তির অভিমত বা বিশেষজ্ঞ অভিমত -ধারা ৪৫ থেকে ৫১।
🔰পক্ষদের চরিত্র ও সুখ্যাতি – ধারা ৫২ থেকে ৫৫।
ধারা ৬ থেকে ৫৫ পর্যন্ত উপরোক্ত বিষয়গুলোই হচ্ছে প্রাসঙ্গিক বিষয়াদি। শুধুমাত্র বিচার্য বিষয় এবং উপরোক্ত প্রাসঙ্গিক বিষয়েই সাক্ষ্য দেয়া যায়।
বিষয়বস্তুগুলোকে উপরোক্ত প্রকারে বিভক্ত করে নিলে ধারা ও বিষয়বস্তু মনে রাখার কাজটা একটু সহজ হতে পারে।
🌎 ২য় খন্ড – ধারা ৫৬ থেকে ১০০
এই খন্ডের অধীনে রয়েছে তৃতীয় থেকে ষষ্ঠ অধ্যায়।
১ম খন্ডের মূল প্রশ্ন ছিল যে, কি প্রমাণ করতে হবে (বিচার্য বিষয় এবং প্রাসঙ্গিক বিষয়াদি)?। এই ২য় খন্ডের মূল প্রশ্ন হলো, কি ধরণের সাক্ষ্য দিয়ে বিচার্য বিষয় ও প্রাসঙ্গিক বিষয়সমূহকে প্রমাণ করতে হবে? অর্থাৎ কখন মৌখিক সাক্ষ্য প্রমানে ব্যবহৃত হয়, কখন দালিলিক সাক্ষ্য প্রমানে ব্যবহৃত হয়। দালিলিক সাক্ষ্য দ্বারা কোন কিছু প্রমান করতে হলে কখন দলিলের প্রাথমিক সাক্ষ্য প্রমানে ব্যবহৃত হবে, কখন মাধ্যমিক সাক্ষ্য প্রমানে ব্যবহৃত হবে ইত্যাদি এ খন্ডের প্রধানতম আলোচ্য বিষয়। অবশ্য ২য় খন্ডের শুরুতেই ৩য় অধ্যায়ে ধারা ৫৬ থেকে ৫৮ ধারায় উল্লেখ রয়েছে যেসকল বিষয় প্রমানের দরকার নেই সে বিষয়ে।
২য় খন্ডের অধিনে থাকা অধ্যায়গুলির আলোচ্য বিষয়গুলি নিন্মরূপ।
🎁 ৩য় অধ্যায়ঃ ধারা ৫৬ থেকে ৫৮
এই অধায়ের আলোচ্য বিষয় হচ্ছে যেসকল বিষয় প্রমানের দরকার নাই।
🔰 আদালত যে সকল বিষয় বিচারক হিসেবে অবগত হবেন তা প্রমানের দরকার নাই – ধারা ৫৬।
🔰 ৫৭ ধারাতে নির্দিষ্ট করে বলে দেয়া হয়েছে যে আদালত কোন কোন বিষয়ে বিচারক হিসেবে অবশ্যই অবগত হবেন (১১ টি বিষয়ে বা ক্ষেত্রে)
🔰৫৮ ধারাতে বলা হয়েছে যে স্বীকৃত বিষয় প্রমানের দরকার নাই অর্থাৎ যা নিয়ে বিভেদ নেই তা প্রমানেরও আবশ্যকতা নেই।
🎁চতুর্থ অধ্যায়ঃ – ধারা ৫৯ ও ৬০
এই অধ্যায়ে রয়েছে মৌখিক সাক্ষ্য বিষয়ক নিয়মাবলী।
🔰 ৫৯ ধারাতে বলা হয়েছে দলিলের বিষয়বস্তু ব্যতীত অন্যান্য সকল ক্ষেত্রেই মৌখিক সাক্ষ্য দেয়া যাবে। অর্থাৎ দলিলকে সাধারণত দলিল দ্বারাই প্রমাণ করতে হবে এ ব্যতীত সকল ক্ষেত্রে মৌখিক সাক্ষ্য দেয়া চলবে।
🔰 ধারা ৬০ – মৌখিক সাক্ষ্য অবশ্যই প্রতক্ষ্য হতে হবে। অর্থাৎ যিনি কোন বিষয় দেখেছেন, শুনেছেন, উপলব্ধি করেছেন বা অভিমত পোষন করেছেন তাকেই আদালতে উপস্থিত হয়ে সাক্ষ্য দিতে হবে। উপরেই উল্লেখ রয়েছে যে এই নীতির ব্যাতিক্রম হলো ৩২ ও ৩৩ ধারা।
৫৯ এবং ৬০ ধারা নিয়েই চতুর্থ অধ্যায় শেষ।
🎁 পঞ্চম অধ্যায়ঃ ধারা ৬১ থেকে ৯০
এই অধায়ে রয়েছে দালিলিক সাক্ষ্য বিষয়ক নিয়মাবলী (এর মধ্যে ৭৯ থেকে ৯০ ধারার আলোচ্য বিষয়বস্তু হচ্ছে দলিল সম্পর্কে অনুমান)।
এই অধ্যায়ের আওতাভুক্ত উল্লেখযোগ্য ধারাগুলো হলোঃ
🔰 ধারা ৬১ – দলিলকে দুইভাবে প্রমান করা যায়
– প্রাথমিক দালিলিক সাক্ষ্য দ্বারা।
– মাধ্যমিক দালিলিক সাক্ষ্য দ্বারা।
🔰 ধারা ৬২ – প্রাথমিক সাক্ষ্য বলতে যা বোঝায়।
🔰 ধারা ৬৩ – মাধ্যমিক সাক্ষ্য বলতে যা বোঝায়।
🔰 ধারা ৬৪ – ধার ৬৫ তে উল্লেখিত ব্যাতিক্রম ব্যাতিত দলিল অবশ্যই প্রথমিক সাক্ষ্য দ্বারা প্রমানযোগ্য।
🔰 ধারা ৬৫ – সেই ব্যাতিক্রমটির বিষয়ে উল্লেখ রয়েছে, যেক্ষেত্রে দলিল মাধ্যমিক সাক্ষ্য দ্বারা প্রমান করা যায়।
🎁 ৬ষ্ঠ অধ্যায়ঃ – ধারা ৯১ থেকে ১০০
এই অধ্যায়ের আলোচ্য বিষয় হচ্ছে দালিলিক সাক্ষ্যের উপস্থিতিতে মৌখিক সাক্ষ্য বর্জন সম্পর্কে।
🌎 ৩ খন্ড – ধারা ১০১ থেকে ১৬৭
এই খন্ডের অধীনে রয়েছে সপ্তম অধ্যায় থেকে একাদশ অধ্যায়।
১ম খন্ডের মূল আলোচনা ছিলো, কি প্রমাণ করতে হবে (বিচার্য বিষয় ও প্রাসঙ্গিক বিষয়)?
২য় খন্ডের মূল আলোচনা ছিলো, কি ধরনের সাক্ষ্য দ্বারা প্রমাণ করতে হবে (মৌখিক সাক্ষ্য, দালিলিক সাক্ষ্য, প্রাথমিক সাক্ষ্য, মাধ্যমিক সাক্ষ্য ইত্যাদি)?
এই ৩য় খন্ডের মূল আলোচনা হলো কার দ্বারা, কি পদ্ধতিতে প্রমাণ করতে হবে? অর্থাৎ কার দ্বারা, কি পদ্ধতিতে সাক্ষ্য উপস্থাপিত হবে সে বিষয়ক নিয়মাবলী রয়েছে এ অংশে। কে সাক্ষ্য প্রদানে যোগ্য ব্যক্তি, প্রমানের দায় কার ওপর বর্তায়, কাদের মধ্যকার বার্তা সাক্ষ্য হিসেবে উপস্থাপন করা যায়না বা যায়, সাক্ষ্য গ্রহণের ক্রম বা পদ্ধতি ইত্যাদি আলোচিত হয়েছে এ অংশে।
এই খন্ডের অধ্যায়গুলোর আলোচনা নিম্নরূপ।
🎁 সপ্তম অধ্যায়ঃ ধারা ১০১ থেকে ১১৪
এই আধ্যায়ের আলোচ্য বিষয় হচ্ছে কোন ঘটনা প্রমানের দ্বায়িত্ব কার উপর বর্তায় সে সম্পর্কিত নিয়মাবলী। অর্থাৎ প্রমানের দায়িত্ব বিষয়ক নিয়মাবলী।
🎁 অষ্টম অধ্যায়ঃ ধারা ১১৫ থেকে ১১৭ ।
প্রতিবন্ধকতা (Estopple) সম্পর্কিত নিয়মাবলী এই অধ্যায়ে আলোচিত হয়েছে।
🎁 নবম অধ্যায়ঃ ধারা ১১৮ থেকে ১৩৪।
এই অধ্যায়ে প্রধানত সাক্ষ্য প্রদানের যোগ্যতা ও সাক্ষির সংখ্যা সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা রয়েছে।
🎁 দশম অধ্যায়ঃ ধারা ১৩৫ থেকে ১৬৬ ।
এই অধ্যায়ে প্রধানত সাক্ষ্য গ্রহণের পদ্ধতি সম্পর্কিত আলোচনা রয়েছে। জবানবন্দি, জেরা, পুনঃজবানবন্দি গ্রহণের ক্রম ও সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পর্কিত অন্যান্য আনুষঙ্গিক পদ্ধতির বর্ননা রয়েছে এই অধ্যায়ে।
একাদশ অধ্যায়ঃ ধারা ১৬৭ ।
এই অধ্যায়ের শিরোনামটি হলো অন্যায়ভাবে সাক্ষ্য গ্রাহ্য ও অগ্রাহ্য করা। এই একটি ধারা নিয়েই শেষ এই অধ্যায়টি। ধারাটির মূল কথা হলো অন্যায়ভাবে সাক্ষ্য গ্রহন বা বর্জন হওয়ার পরেও যদি যদি প্রতীয়মান হয় যে এর দ্বারা আদালতের সিদ্ধান্ত কোন তারতম্য হয়না তাহলে এ অজুহাতে কোন মামলার পুনর্বিচার দাবি করা যায়না।
সাক্ষ্য আইন থেকে বিগত পরীক্ষায় আসা প্রশ্নের ভিত্তিতে যেসকল ধারাসমূহ পরীক্ষার জন্য অধিক গুরুত্বপূর্ণ এবং যেগুলো স্বাভাবিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ তার একটি তালিকা নিচের চিত্রে দেয়া হলো (বায়ে ধারা সংখ্যা এবং ডানে বার ও বিজিএস পরীক্ষায় ওই ধারা থেকে কতটি প্রশ্ন এসেছিলো তার বিবরণ।
উপরোক্ত লেখাটিতে চেষ্টা করা হয়েছে সাক্ষ্য আইন সম্পর্কে একটা মৌলিক ধারণা প্রদান করতে এবং গুরুত্বপূর্ণ ধারাগুলোকে আলাদাভাবে সন্নিবেশিত করতে যা পরীক্ষার্থীদেরকে সাক্ষ্য আইনের পাঠ সহজে বুঝতে সহায়তা করবে বলে আমার মনে হয়। সকলকে ধন্যবাদ ও শুভকামনা।