জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর আপিলাত ট্রাইব্যুনালের বিচারক হিসেবে আইনজীবী নিয়োগের দাবি দীর্ঘদিনের। বাংলাদেশ ট্যাক্স লইয়ার্স এসোসিয়েশনের (বিটিএলএ) এ দাবি শিগগিরই পূরণ হতে যাচ্ছে বলে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক আশ্বাস দিয়েছেন।
সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে কর আইনজীবী সমিতির নেতাদের সঙ্গে এক বৈঠকে গত রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) তিনি আশ্বাস দিয়ে বলেন, বিধান অনুযায়ী কর ট্রাইব্যুনালের বিচারক হিসেবে আইনজীবী নিয়োগ ও জেলা জজ নিয়োগের বিষয়টি শিগগিরই ফয়সালা করা হবে।
বাংলাদেশ ট্যাক্স লইয়ার্স এসোসিয়েশনের (বিটিএলএ) এর আহবায়ক ও সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মো. সোহরাব উদ্দিনের নেতৃত্বে সিনিয়র আইনজীবীরা মন্ত্রীর সাথে দেখা করেন। এ সময় কর আইনজীবী সমিতির পক্ষ থেকে নতুন আয়কর আইন তৈরি, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের আদলে ট্যাক্স বার কাউন্সিল গঠন, আয়কর ট্রাইব্যুনালকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের পরিবর্তে পুনরায় আইন মন্ত্রণালয়ের অধীনে স্থানান্তর করা, বিধান অনুযায়ী ট্রাইব্যুনালে জেলা জজ ও সিনিয়র আয়কর আইনজীবীদের নিয়োগ দেয়া এবং সরকারের আইনি সহায়তা নিশ্চিত করার জন্য জজ কোর্ট, হাইকোর্টেরে আদলে ট্রাইব্যুনালে সরকারের পক্ষে আয়কর আইনজীবীদের নিয়োগ দেয়ার দাবি জানানো হয়।
এসব দাবির বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, আমরা আপনাদের নিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়সহ অন্যান্য অংশীদারদের সঙ্গে নিয়ে শিগগিরই বসব। আপনার আপনাদের দাবির যৌক্তিক কথা তুলে ধরবেন। এরপর আমরা বিষয়গুলো নিয়ে আলাপ আলোচনা করে যতদ্রুত সম্ভব সমাধান করব। তবে এটুকু বলতে পারি বিধান অনুযায়ী ট্রাইব্যুনালে বিচারক হিসেবে আইনজীবী নিয়োগ ও জেলা জজ নিয়োগের বিষয়টি শিগগিরই ফয়সালা করা হবে।
বৈঠকে কর আইনজীবী সমিতির পক্ষ থেকে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন অ্যাডভোকেট মো. সোহরাব উদ্দিন। তিনি বলেন, জাতীয় রজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের স্বেচ্চাচারিতা ও হয়রানি রোধে নতুন আয়কর আইন প্রণয়ন জরুরি হয়ে পড়েছে। পাশাপাশি সরকারের রাজস্ব আহরণের সঙ্গে যুক্ত কর আইনজীবীদের জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের আদলে ট্যাক্স বার কাউন্সিল গঠনের দাবি জানান তিনি।
অ্যাডভোকেট মো. সোহরাব উদ্দিন বলেন, ১৯৮৪ সালের জারিকৃত আয়কর অধ্যাদেশকে পরবর্তীতে আয়কর আইনে পরিণত করার বিধান থাকলেও এখন পর্যন্ত কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। এটা না করার ফলে জাতীয় রজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের স্বেচ্চাচারিতা ও হয়রানি বেড়ে গেছে। তারা যখন তখন এসআরও (প্রজ্ঞাপন) জারি করে করদাতাদের হয়রানি করে। এর ফলে কর আদায় ব্যপকভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।