কক্সবাজারের উখিয়ায় এক প্রবাসীর পরিবারের চারজনকে গলাকেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। নিহতদের মধ্যে দু’জন শিশু ও দু’জন নারী।
আজ বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টার দিকে উপজেলার রত্নাপালং ইউনিয়নের কোটবাজার পূর্বরত্না গ্রামের কুয়েত প্রবাসী রোকেন বড়ুয়ার বাড়ি থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহতরা হলেন, ওই এলাকার মৃত প্রবীণ বড়ুয়ার স্ত্রী সখি বড়ুয়া (৬২), তার ছেলে কুয়েত প্রবাসী রোকেন বড়ুয়ার স্ত্রী মিলা বড়ুয়া (২৩), ছেলে রবিন বড়ুয়া (৫) ও শিবু বড়ুয়ার মেয়ে সনি বড়ুয়া (৬)। তাদের প্রত্যেককে ওই বাড়িতে গলাকাটা অবস্থায় পাওয়া গেছে।
পুলিশ ধারণা করছে, ছাদের দরজা ভেঙে বাড়িতে ঢুকে দুর্বৃত্তরা তাদের গলা কেটে হত্যা করেছে।
স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার সকালে রোকেন বড়ুয়ার বাড়ির রুমে গলাকাটা অবস্থায় মৃত প্রবীণ বড়ুয়ার স্ত্রী সখি বড়ুয়ার লাশ দেখা যায়। পরে বাড়ির ভেতরে অন্য একটি রুমে রোকেন বড়ুয়ার স্ত্রী মিলা বড়ুয়া, শিশু রবিন বড়ুয়া ও শিশু সনি বড়ুয়াসহ তিনজনের গলাকাটা মরদেহ মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। এ ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে।
উখিয়ার রত্নাপালং ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোক্তার আহমদ বলেন, ‘একই পরিবারের শিশুসহ চারজনকে গলা কেটে কে কারা হত্যা করেছে। ধারণা করা হচ্ছে, বাড়ির সিঁড়ি দিয়ে ঢুকে এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে।’
উখিয়া থানার ওসি (তদন্ত) মো. নুরুল ইসলাম মজুমদার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন ‘খবর পেয়ে পুলিশ ওই বাড়ির তিনটি কক্ষ থেকে চারজনের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে। ধারণা করা হচ্ছে, রোকেন বড়ুয়ার বাড়ির ছাদের দরজা ভেঙে দুর্বৃত্তরা বাড়িতে ঢুকে তাদের গলা কেটে হত্যা করে। ঘটনাটির তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার সকালে একই পরিবারের চারজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। জেলা পুলিশ সুপারসহ তিনি ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন। এ ব্যাপারে বিস্তারিত পরে জানানো হবে।