ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের মন্দিরগুলোতে পশুবলি নিষিদ্ধ করেছে দেশটির আদালত। শুক্রবার ত্রিপুরা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জয় করোল ও বিচারপতি অরিন্দম লোধের সমন্বয়ে গঠিত ডিভিশন বেঞ্চ এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
আদালতের রায়ে বলা হয়, মাতা ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরে রোজ বলি দেয়ার রেওয়াজ নিষিদ্ধ করা হলো। সেইসঙ্গে রাজ্যে যে কোনও ধরনের পশু-পাখি বলি দেওয়ার প্রথাও নিষিদ্ধ।
রায়ে আরো বলা হয়, পশু বলি হিন্দু ধর্মের পুরনো কোনও প্রথা নয়। এটি ২১ ধারারও পরিপন্থী। সরকার মন্দিরের উৎসর্গ করা পশু সংরক্ষণের জন্য জমি দান করুক।
উল্লেখ্য, রাজ্যের মন্দিরগুলিতে পশুবলি নিষিদ্ধ করার আবেদন করে হাইকোর্টে একটি পিআইএল করেছিলেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি সুভাষ ভট্টাচার্য।
এদিন সরকারি আইনজীবী আদালতে বলেন, ‘হিন্দু ধর্মের প্রথা অনুযায়ী পশু বলি দেওয়া অত্যন্ত পুরনো একটি রেওয়াজ। তাই এই প্রথা বন্ধ করা যায় না।’ বেঞ্চের পক্ষ থেকে বলা হয়, এটি কোনও পুরনো রেওয়াজ নয়। কেউ পশু বলি দিতে চাইলে তা সরকারি খামারে রাখা হোক।
আদালতের পক্ষ থেকে পশ্চিম গোমতী জেলার ডিএমকে আদালতের নির্দেশ কার্যকর করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই জেলাতেই রয়েছে, ত্রিপুরেশ্বরী মন্দির ও ছোটুরদাস দেবতা বাড়ি মন্দির। রাজ্যের মুখ্য সচিবকে ওই দুই মন্দিরে ক্যামেরা বসানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।