ঢাকা ক্লাবসহ দেশের ১৩টি অভিজাত ক্লাবে টাকার বিনিময়ে হাউজি, ডাইস ও তাস খেলা নিয়ে হাইকোর্টের জারি করা রুল শুনানির জন্য উদ্যোগ নিচ্ছে রিট আবেদনকারী পক্ষ।
১৩ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্টের অবকাশ শেষে রিটে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জারি করা রুল শুনানির জন্য হাইকোর্ট বিভাগের নজরে আনা হবে বলে জানিয়েছেন আইনজীবী ব্যারিস্টার রেদোয়ান আহমেদ রানজীব।
২০১৬ সালে ঢাকা ক্লাবসহ দেশের ১৩টি অভিজাত ক্লাবে টাকার বিনিময়ে হাউজি, ডাইস ও তাস খেলা নিয়ে হাইকোর্টে রিট করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ সামীউল হক ও রোকন উদ্দিন মো. ফারুক।
তাদের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন- সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এএফ হাসান আরিফ ও আইনজীবী ব্যারিস্টার রেদোয়ান আহমেদ রানজীব। আদালতে ঢাকা ক্লাবের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।
ওই রিটের শুনানি নিয়ে ৪ ডিসেম্বর ঢাকা ক্লাবসহ দেশের ১৩টি অভিজাত ক্লাবে টাকার বিনিময়ে হাউজি, ডাইস ও তাস খেলা থেকে বিরত থাকার নির্দেশনা দেন। অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ ছাড়াও রুল জারি করা হয়েছে।
রুলে অভ্যন্তরীণ খেলার নামে কার্ড, ডাইস ও হাউজি খেলার বেআইনি ব্যবসা আয়োজনকারীদের বিরুদ্ধে কেন যথাযথ পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
অন্তর্বর্তীকালীন আদেশের বিরুদ্ধে ঢাকা ক্লাবের আবেদনের পর আপিল বিভাগ হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেন এবং রুল নিষ্পত্তিতে আদেশ দেন। কিন্তু এতদিনেও কোনো পক্ষ রুল শুনানিতে উদ্যোগ নেননি।
রেদোয়ান আহমেদ রানজীব বলেন, আপিল বিভাগের আদেশের পর হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চ পুনর্গঠন করা হয়। এ কারণে ওই রুলের ওপর আর শুনানির উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। আগামী ১৩ অক্টোবর নিয়মিত আদালত খোলার পর বিষয়টি শুনানির উদ্যোগ নেওয়া হবে এবং আদালতের নজরে আনা হবে।
রিটের বিবাদীরা হচ্ছেন, স্বরাষ্ট্রসচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা ও সিলেট মহানগর পুলিশের কমিশার, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) মহাপরিচালক, ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, খুলনা, নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসকেরা। তাদের সবাইকে আদালতের এ আদেশ পালন করতে হবে।
আর ১৩ ক্লাব হলো- ঢাকা ক্লাব, উত্তরা ক্লাব, গুলশান ক্লাব, ধানমন্ডি ক্লাব, বনানী ক্লাব, অফিসার্স ক্লাব ঢাকা, ঢাকা লেডিস ক্লাব, ক্যাডেট কলেজ ক্লাব, চিটাগাং ক্লাব, চিটাগাং সিনিয়রস ক্লাব, নারায়ণগঞ্জ ক্লাব, সিলেট ক্লাব ও খুলনা ক্লাব।