কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলায় জিন তাড়ানোর চিকিৎসার নামে কবিরাজের বিরুদ্ধে এক তরুণীকে (১৮) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় শরিফ উদ্দিন (৬০) নামের ওই কবিরাজকে গ্রেপ্তার করে রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে, গত শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাতে করিমগঞ্জ উপজেলার পূর্ব কান্দাইল গ্রামে ধর্ষণের এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে পুলিশ। শুক্রবার রাতেই শরিফ উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা করিমগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ময়নাল হোসেন গতকাল রোববার কিশোরগঞ্জের বিচারিক হাকিম আদালতে হাজির করেন শরিফকে। শুনানি শেষে বিচারক আবদুন নূর তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ওই তরুণী তাঁর মা-বাবার সঙ্গে গাজীপুরে থাকেন। তাঁদের পরিবারের সবাই পোশাকশ্রমিকের কাজ করেন। তরুণী দীর্ঘদিন ধরে নানা শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন। পরে এক নারী তাঁর চিকিৎসার জন্য কবিরাজ শরিফ উদ্দিনের কাছে যাওয়ার পরামর্শ দেন। তাঁর কথামতো তরুণীকে তাঁর মা-বাবা ১৫-২০ দিন আগে শরিফের কাছে নিয়ে যান এবং পাঁচ হাজার টাকার বিনিময়ে তাঁর কাছ থেকে দুটি তাবিজ নিয়ে আসেন।
তরুণী সুস্থ না হওয়ায় তাঁকে গত শুক্রবার রাতে আবারও শরিফের বাড়ি নিয়ে যান তাঁর মা। তখন শরিফ জানান, তরুণীর ওপর জিনের আসর পড়েছে। পরে মাকে বসিয়ে রেখে তরুণীকে আরেকটি ঘরে নিয়ে গিয়ে শরিফ ধর্ষণ করে পালিয়ে যান।
এ বিষয়ে করিমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম বলেন, শুক্রবার রাতে তরুণীর মা বাদী হয়ে শরিফের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে শরিফকে গ্রেপ্তার করে।