বরগুনায় আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলার পলাতক আট আসামির মালপত্র জব্দের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। মালপত্র জব্দ করা হল কি না তা আগামী ১৬ অক্টোবর আদালতকে জানাতে বলা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টায় বরগুনার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম গাজী এ আদেশ দেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী মুজিবুল হক কিসলু আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মালপত্র জব্দ করা হল কি না তা আগামী ১৬ অক্টোবর আদালতকে জানাতে বলেছেন বিচারক।
এই আট আসামির মধ্যে মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত অভিযোগপত্রের ৩ নম্বর এবং মো. মুসা ৬ নম্বর আসামি। বাকি ছয়জন অপ্রাপ্তবয়স্ক।
এ মামলায় জামিনে থাকা রিফাতের স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি ও আরিয়ান এদিন আদালতে হাজিরা দেন। আসামি রাকিবুল হাসান, রিফাত ফরাজী, রেজওয়ান আলী খান ওরফে টিকটক হৃদয়ের পক্ষে জামিন আবেদন করা হলে বিচারক তা নাকচ করে দেন।
কারাগারে থাকা আরও সাত আসামিকে এদিন আদালতে হাজির করে পুলিশ। শুনানি শেষে তাদের আবার কারাগারে ফেরত পাঠানো হয়।
গত ২৬ জুন বরগুনা জেলা শহরের কলেজ রোডে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করা হয় রিফাতকে। ওই ঘটনার একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে দেশজুড়ে সমালোচনা হয়।
ওই ঘটনায় রিফাতের বাবা দুলাল শরীফ বাদী হয়ে ১২ জনকে আসামি করে বরগুনা থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় রিফাতের স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিকে মামলায় ১ নম্বর সাক্ষী করা হয়।
কিন্তু মিন্নির শ্বশুরই পরে হত্যাকাণ্ডে পুত্রবধূর জড়িত থাকার অভিযোগ তোলেন। এরপর ১৬ জুলাই মিন্নিকে বরগুনার পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে দিনভর জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। পরে সেদিন রাতে তাকে রিফাত হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
পরে হাই কোর্ট থেকে শর্তসাপেক্ষে জামিন পান মিন্নি। আর হত্যাকাণ্ডের প্রধান সন্দেহভাজন সাব্বির আহম্মেদ ওরফে নয়ন বন্ড গত ২ জুলাই পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন।
তদন্ত শেষে পুলিশ যে অভিযোগপত্র দেয়, সেখানে রিফাতের স্ত্রী মিন্নিসহ ২৪ জনকে আসামি করা হয়। সেই অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে আদালত গত ১৮ সেপ্টেম্বর পলাতক নয় আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।
নয়জনের মধ্যে অপ্রাপ্তবয়স্ক একজন বুধবার বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে আত্মসমর্পণ করলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।