বুয়েটকে বুলেট বলে সমালোচিত বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার এক আসামি পক্ষের আইনজীবী মোর্শেদা খাতুন শিল্পী। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে তাকে নিয়ে শুরু হয়েছে নানা আলোচনা।
গতকাল মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত থেকে বেরিয়ে অ্যাডভোকেট মোর্শেদা বলেন, ‘আমার সাবমিশন ছিল যে আমার মুজাহিদ নির্দোষ একটা ছেলে ছিল। সেও বুলেটের এবং ব্রিলিয়ান্ট ছাত্র ছিল।’
সোশ্যাল মিডিয়ায় এই আইনজীবীকে নিয়ে তুমুল সমালোচনা চলছে। নেটিজেনরা বলছেন যিনি বুয়েটকে বুলেট বলেন তিনি কীভাবে আইনজীবী হন। আসামি পক্ষের আইনজীবীদের বিরুদ্ধে আরো একটি অভিযোগ করছেন নেটিজেনরা- আইনজীবীরা নাকি আদালতে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন আবরারের শরীরে পেটানোর দাগ ছিল নাকি চর্ম রোগ ছিল সেটাও যাচাই করে দেখা দরকার।’
[youtube https://www.youtube.com/watch?v=c1kEiiqFKwk]
এদিকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম থেকে বহিষ্কৃত হয়েছেন আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার এক আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোর্শেদা খাতুন শিল্পী। মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আবরার হত্যা মামলার আসামি মুজাহিদুলের পক্ষে আইনি লড়াইয়ে তিনি অংশ নিয়েছেন। মোজাহিদুল রহমান ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বা ইইই বিভাগ, ১৬তম ব্যাচ ও বুয়েট ছাত্রলীগ সদস্য।
তবে আবরার হত্যা মামলার আসামিদের একজনের পক্ষে আইনি লড়াইয়ে অংশ নেয়ার কারণে তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে কি না সে বিষয়ে স্পষ্ট কিছু বলা হয়নি বিজ্ঞপ্তিতে।
রুহুল কবীর রিজভী স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘সংগঠন বিরোধী তৎপরতার জন্য বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট মোর্শেদা খাতুন শিল্পীকে সংগঠনের সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এখন থেকে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাংগঠনিক কার্যক্রমের সাথে অ্যাডভোকেট মোর্শেদা খাতুন শিল্পীর কোনো সম্পর্ক থাকবে না।’
জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের ১৭৯ সদস্যের নতুন কমিটিতে সদস্য হয়েছিলেন অ্যাডভোকেট মোর্শেদা খাতুন। এ কমিটি ঘোষণার পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের কথা রয়েছে। কিন্তু তার অনেক আগেই বহিষ্কৃত হলেন অ্যাডভোকেট মোর্শেদা খাতুন শিল্পী।
চলতি মাসের ৪ তারিখে সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেনকে আহ্বায়ক এবং বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমানকে সদস্য সচিব করে এ ফোরাম গঠিত হয়।