দেশের আলোচিত ঘটনাগুলোর মধ্যে সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট অ্যালায়েন্সের (বিএনএ) সভাপতি ও সাবেক বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার দায়ের করা ঘুষের মামলা অন্যতম। তবে তদন্ত শেষ না হওয়ায় আদালতের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছে মামলাটি। তদন্ত কর্মকর্তার ভাষ্য- মামলাটি স্পর্শকাতর। তদন্তের ক্ষেত্রে অনেক বিষয় খতিয়ে দেখতে হচ্ছে। ফলে যথা সময়ে মামলার তদন্ত শেষ হচ্ছে না।
আগামী ২৯ অক্টোবর ঢাকা মহানগর হাকিম সত্যব্রত সিকদারের আদালতে ওই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ ধার্য রয়েছে। আদালতের নির্দেশে বর্তমানে মামলাটির তদন্ত করছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও দুদক পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘সাবেক প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাটি স্পর্শকাতর। এ মামলায় যাদের সাক্ষী করা হয়েছে, তাদের তলব করা হয়েছিল। দু’একজন এলেও অন্যরা এখনও সাক্ষ্য দিতে আসেননি। এছাড়া অনেক তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ ও অভিযোগের বিষয়টি যাচাই-বাছাই করতে হচ্ছে। এ কারণেই তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বিলম্ব হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার (এস কে সিনহা) পদত্যাগ ও দেশ ত্যাগের ঘটনাটি ছিল অন্যতম আলোচিত ইস্যু। ২০১৫ সালের ১৭ জানুয়ারি প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন এস কে সিনহা। ২০১৭ সালের ১৩ অক্টোবর রাত ১১টা ৫৫ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে অস্ট্রেলিয়ার উদ্দেশে দেশ ত্যাগ করেন তিনি। এর আগে ১০ অক্টোবর প্রধান বিচারপতি আইন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতিকে তার বিদেশ ভ্রমণের বিষয়টি চিঠি দিয়ে অবহিত করেন। বিচারপতি এস কে সিনহার ঘটনাটি আইনজীবী, রাজনীতিকসহ সবমহলে আলোচনার ঝড় ওঠে। এসময় তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ শোনা যায়। তিন কোটি ২৫ লাখ টাকা ঘুষ দাবির অভিযোগে ২৭ সেপ্টেম্বর (২০১৮) বিচারপতি এস কে সিনহার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট অ্যালায়েন্সের (বিএনএ) সভাপতি ও সাবেক বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা শাহবাগ থানায় মামলা দায়ের করেন।