আগামী ৬ ডিসেম্বর বাবরি মসজিদ ভাঙচুরের ২৭তম বার্ষিকী। ১৯৯২ সালের এই দিনে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ এবং এর সহযোগী সংগঠনের হিন্দু কর্মীরা উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যায় ষোড়শ শতাব্দীর বাবরি মসজিদ ধ্বংস করে।
এদিকে আগামী ১৭ নভেম্বর বাবরি মসজিদ-রাম জন্মভূমি বিরোধ নিয়ে রায় ঘোষণা হতে পারে ভারতের সুপ্রিমকোর্টে। ইতিমধ্যে এ রায় ঘোষণা কেন্দ্র করে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে অযোধ্যায়।
পরিস্থিতি সামলে নিতে শনিবার (১২ অক্টোবর) থেকে আগামী ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত অযোধ্যায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের।
কোনোরকম সাম্প্রদায়িক সহিংসতা এড়াতে অযোধ্যায় প্রায় দুই মাসব্যাপী এই জরুরি অবস্থা চলবে বলে এ নির্দেশ জারি হয়েছে বলে জানিয়েছেন অযোধ্যার জেলা ম্যাজিস্ট্রেট অনুজ কুমার ঝা।
হিন্দুস্তান টাইমসকে তিনি বলেন, বাবরি মসজিদ ও রামমন্দির মামলার রায়কে ঘিরে সুপ্রিমকোর্টে চলমান শুনানি কেন্দ্র করে অযোধ্যায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত এটি কার্যকর থাকবে। এ সময়ের মধ্যে অযোধ্যায় দীপাবলি ও অন্যান্য ধর্মীয় উৎসব রয়েছে। সেসব উৎসব ঘিরেই এই কঠোরতা।
তিনি বলেন, এই সময়সীমার মধ্যে অযোধ্যায় চারজনের বেশি মানুষ একসঙ্গে সমবেত হতে পারবেন না।
সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে প্রতিবছর অযোধ্যায় এই সময়ে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়ে থাকে বলে জানান অনুজ কুমার ঝা।
এর আগে এক টুইটবার্তায় অনুজ কুমার বলেন, বেআইনি ও অনাকাঙ্ক্ষিত কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে ৩১ আগস্ট থেকে আরেকটি নির্দেশ কার্যকর রয়েছে। শনিবার জারি করা নির্দেশে আরও কয়েকটি এলাকা যুক্ত করা হয়েছে, যা আগের নির্দেশে অন্তর্ভুক্ত ছিল না।
স্থানীয় কর্মকর্তারা বলছেন, এই ১৪৪ ধারা জারির ফলে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়ানো সম্ভব হবে। অযোধ্যায় পর্যটকদের নিরাপদ ও সুরক্ষিত থাকবেন। এ ছাড়া ধর্মীয় উৎসবগুলোও নির্বিঘ্নে পালন করা যাবে।
এদিকে ১৪৪ ধারা জারিকে স্বাগত জানিয়েছেন বাবরি মসজিদ ধ্বংস মামলায় মুসলমান পক্ষের একজন মামলাকারী। ইকবাল আনসারী নামে ওই ব্যক্তি বলেন, অযোধ্যায় শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখা ও অপ্রত্যাশিত কর্মকাণ্ড ঠেকাতে এটি প্রয়োজনীয়। প্রশাসনের এই নিদের্শনাকে স্বাগত জানাই।
১৪৪ ধারা জারিকে স্বাগত জানানো হয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ থেকেও। সংগঠনটির আঞ্চলিক মুখপাত্র শারদ শর্মা বলেন, অযোধ্যায় শান্তি ও সম্প্রীতি নিশ্চিত করার যেকোনো পদক্ষেপকে আমরা স্বাগত জানাই।