বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি এ এস এম নাজমুস সাদাতের পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
আজ বুধবার (অক্টোবর) তাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ সময় আবরার হত্যা মামলার পলাতক আসামিদের গ্রেফতার ও ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাকে ১০ দিনের রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ওয়াহিদুজ্জামান। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম মোরশেদ আল মামুন ভুঁইয়া পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
দিনাজপুরের বিরামপুর থানার কাটলা বাজার এলাকা থেকে সোমবার (১৪ অক্টোবর) দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে সাদাতকে গ্রেফতার করা হয়। ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক ছিলেন। গ্রেফতার এড়ানোর জন্য তিনি দিনাজপুর জেলার হিলি বর্ডার দিয়ে ভারতে পালানোর চেষ্টা করছিলেন।
নাজমুস সাদাত বুয়েটের যন্ত্রকৌশল বিভাগের ১৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। তিনি জয়পুরহাটের কালাই থানার কালাই উত্তরপারার হাফিজুর রহমানের ছেলে।
ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেয়ার জেরে বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে গত ৬ অক্টোবর রাতে ডেকে নিয়ে যায় বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। এরপর রাত ৩টার দিকে শেরেবাংলা হলের নিচতলা ও দোতলার সিঁড়ির করিডোর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
পরদিন সোমবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে আবরারের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়।
নিহত আবরার বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি শেরেবাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে থাকতেন।
এ ঘটনায় আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে চকবাজার থানায় ১৯ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২০ জনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা ও অপরাধ তথ্য বিভাগ।