ভোলার বোরহানউদ্দিনে জনতার বিক্ষোভ সমাবেশকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে চারজন নিহত, পুলিশ ও অসংখ্য জনতা আহত হওয়ার ঘটনা রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র বলে মন্তব্য করে হাইকোর্ট বলেছেন, এ ঘটনায় যদি রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে কোনো নিষ্ক্রিয়তা দেখা দেয় তখন আমরা বিষয়টি দেখব।
ভোলার ঘটনা নজরে আসার পর আজ সোমবার (২১ অক্টোবর) হাইকোর্টের বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এমন মন্তব্য করেন।
ভোলার হতাহতের ঘটনা নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন নজরে আনেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. রনিউল ইসলাম। তিনি আদালতে বলেন, পুলিশের গুলিতে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ দিয়ে তদন্ত করলে নিরপেক্ষ তদন্ত হবে না।
তিনি আরও বলেন, এছাড়া পুলিশের ওপর আগে কারা হামলা চালিয়েছে বা কে কে উস্কানি দিয়েছিল তাদের বের করা দরকার। ভোলায় ওই ঘটনার নিরপেক্ষ তথা বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে আদালতের জনস্বার্থে স্বপ্রণোদিত আদেশ চেয়েছিলাম।
তখন আদালত আইনজীবীকে উদ্দেশ করে বলেন, ভোলায় সংঘর্ষের ঘটনা সরকার দেখছেন। আহত ও নিহতের ঘটনায় ইতোমধ্যে তদন্তও শুরু হয়েছে। আমরা এ মুহূর্তে হস্তক্ষেপ করব না। তবে আইন-শৃঙখলা বাহিনী যদি ব্যর্থ হয় তবে আমরা দেখব।’
এছাড়া পুলিশের তদন্তে ভোলার ঘটনার সত্য বেরিয়ে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন আদালত।
আদালতে বিষয়টি নজরে আনেন আইনজীবী মো. রনিউল ইসলাম। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।
এর আগে, রোববার (২০ অক্টোবর) ফেসবুকে মহানবীকে (সা.) কটূক্তি করা নিয়ে ভোলায় জনতার বিক্ষোভ সমাবেশকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে চারজন নিহত ও ১০ পুলিশসহ দেড় শতাধিক আহত হন।
ওই ঘটনায় অজ্ঞাতনামা পাঁচ হাজার জনকে আসামি করে মামলা করেছে পুলিশ। রোববার দিবাগত রাতে বোরহানউদ্দিন থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবিদ হোসেন এ মামলা করেন।