ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাজাপ্রাপ্ত ১৮ বছরের কম বয়সী সব শিশুকে কারামুক্তি দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এর মধ্যে ১২ বছরের কম বয়সী শিশুদের তাৎক্ষণিক এবং ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সী শিশুদের ছয় মাসের জামিনে মুক্তির নির্দেশ দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে, এসব শিশুকে সাজা দেয়া সংক্রান্ত নথি এক সপ্তাহের মধ্যে তলব করেছেন আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) বৃহস্পতিবার সকালে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন আমলে নিয়ে বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. মাহমুদুর হাসান তালুকদারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত হয়ে রুলসহ এই আদেশ দেন।
শুনানির সময় আদালত বলেছেন, কোনো শিশুকে মোবাইল কোর্ট সাজা দিতে পারে না। শিশুরা অপরাধ করলে তাদের বিচার হবে শিশু আদালতে। এক দিনের জন্যও কোনো শিশুকে বেআইনিভাবে সাজা দিয়ে আটকে রাখার এখতিয়ার নেই।
প্রতিবেদনটি আদালতেরর নজরে এনে শুনানি করেন ব্যারিস্টার আব্দুল হালিম। তার সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) একটি জাতীয় দৈনিকে ‘আইনে মানা, তবু ১২১ শিশুর দণ্ড’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, শিশু আইনে স্পষ্টই বলা আছে, অন্য কোনো আইনে যা কিছুই থাকুক না কেন, অপরাধে জড়িত থাকা শিশুর বিচার শুধু শিশু আদালতেই হবে। অথচ ভ্রাম্যমাণ আদালত শিশুদের দণ্ড দিয়ে চলেছেন। এ মুহূর্তে টঙ্গীর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে ১২১টি শিশুর সন্ধান পাওয়া গেছে, যাদের দণ্ড দিয়েছেন র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এরা তিন মাস থেকে এক বছর পর্যন্ত মেয়াদে কারাদণ্ড ভোগ করছে।
শিশু আইনের পাশাপাশি হাইকোর্টের একাধিক রায়েও বলা হয়েছে, শিশুর বিরুদ্ধে যেকোনো অভিযোগের বিচার শুধু শিশু আদালতেই হতে হবে। ভ্রাম্যমাণ আদালত দূরের কথা, অধস্তন আদালতের কোনো বিচারক শিশুদের বিচার করলেও তা হবে বেআইনি।